বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে বিরত রয়েছেন তারা। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে সারা বিশ্বে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাকিব-তামিমদের আচরণে আমরা অসন্তুষ্ট। এটা মোটেও কাম্য নয়। আমরা এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। তারা আমাদের সঙ্গে (দাবিগুলোর বিষয়ে) আলোচনা করতে পারত। তাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে তাদের সব চাওয়া আমরা পূরণ করেছি।
পাপন বলেন, আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ খেলা বন্ধ করে দেয়া একটা চক্রান্ত। জিম্বাবুয়ের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত আমরা তা জানি। তাদের খুঁজে বের করা হবে। আমার মতে, দু’একজন ক্রিকেটার এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাকিরা না বুঝে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হার প্রত্যাশা ছিল না। ক্রিকেটে ফিক্সিং হয়েও থাকতে পারে। শিগগির ম্যাচ পাতানোর গুমর ফাঁস করা হবে। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। এতে ক্রিকেটাররা না এলে বিসিবির করার কিছু নেই। প্রয়োজনে অন্য পথে হাঁটব আমরা।
টাকার জন্য ক্রিকেটাররা খেলা বন্ধ করে দেবে, এটা ভাবতে পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ওরা চেয়েছে আমি দেই নাই, এটা হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে আসার পরেই সাকিব-তামিম আমাকে বলেছে, ভাই বেতন বাড়ায় দেন। আমি বললাম, তোমাদের বেতন এখন কত? ওরা বললো ২ লাখ ৫০ হাজার। আমি পরে বললাম ঠিক আছে চার লাখ করে দিলাম। কী পরিমান সুযোগ-সুবিধা ওদের দিচ্ছি, ২৪ কোটি টাকা শুধু ওদের বোনাস দিয়েছি।
তিনি আরো জানান, ওরা একটা দাবি করেছে গ্রাউন্ডসম্যান-আম্পায়ারদের বেতন বাড়ানোর। আমরা তো কদিন আগেই আম্পায়ারদের বেতন বাড়িয়েছি। তারপরও কী করে ওরা এই দাবি করে? ওরা এমন ভাব দেখিয়েছে যে আমরা কিছুই করছি না। এত কিছু করার পরও…। কি করিনি? ওদের পারিবারিক সমস্যার আমি সমাধান করেছি। কারও খালার সমস্যা, কারও জমি উদ্ধার, কি কাজে আমি যাইনি। বিদেশ থেকে ফোনের পর ফোন করে তাদের সমস্যা সমাধান করেছি। পুলিশ একে ধরে নিয়ে গেছে, ওকে ধরে নিয়ে গেছে, আমি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি।