#MeToo ক্যাম্পেনের পর ট্যুইটারে শুরু হয়েছে #WhyIDidntReport. নতুন এই হ্যাশট্যাগ শুরু হওয়ার কারণ ডনাল্ড ট্রাম্প৷ আমেরিকান অ্যাটোর্নি ব্রেট মাইকেল ক্যাভানফের বিরুদ্ধে প্রফেসর ক্রিস্টিন ফোর্ড কেন যৌন হেনস্থার মামলা করেননি৷ এমনই প্রশ্ন তুলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷
ক্রিস্টিনের কথায় তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন ব্রেট৷ তাই এমন প্রশ্ন করেছেন ট্রাম্প৷ যদি যৌন হেনস্থা হয়েই থাকে তাহলে ব্রেটের বিরুদ্ধে আইনও সঠিক ব্যবস্থা নিত৷
সেই থেকেই শুরু হয়েছে এই হ্যাশট্যাগ৷ #Metoo এর সঙ্গে পার্থক্যটা অন্য জায়গায়৷ যৌন হেনস্থার শিকার মহিলারা কেন কোনও আইনি অভিযোগ দায়ের করেননি৷ সেই কারণ ট্যুইটারে জানিয়ে এই হ্যাশট্যাগ দিচ্ছেন সকল মহিলা৷ এর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন তারকা৷ অভিনেত্রী ড্যারিল হ্যানা, উইটনি কিউমিনস, লিলি রেইনহার্ট নিজেদের হেনস্থার কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
এই তালিকায় উঠে এল জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাশলি জ্যুডের কথা৷ মাত্র ১৫ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, “প্রথমবার যখন আমাকে হেনস্থা করা হয়, তখন আমার মাত্র সাত বছর বয়স৷ আমার তখন আমার এক গুরুজনকে কথাটা জানাই৷
তাঁরা বলেছিলেন, ‘না না৷ তুমি ভুল ভাবছ৷ উনি একজন খুব ভালো মানুষ৷ উনি একেবারেই ভুল কিছু ভেবে করেননি৷’ তারপর আমার যখন ১৫ বছর বয়স, আমি ধর্ষিতা হই৷ সে সময় আর কাউকে কিছু জানাইনি৷ ডায়রিতে লিখেছিলাম৷ আর যখন একজন আমার ডায়েরিটা পরে ফেলে তখন সে বলেছিল আমি একজন বয়স্ক মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছি, আমার লজ্জ্বা হওয়া উচিত৷”
অনেকেই নিজেদের হেনস্থার কথা শিকার করে জানিয়েছেন কেন তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেননি৷ যৌন হেনস্থার পরও মানসিক ভাবে বিভিন্ন রকমের কথা বার্তায় তাঁদের অত্যাটারিত হতে হয়, যার জন্যই মুখ বন্ধ রাখাই শ্রেয় মনে করেছেন তাঁরা৷