বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ায় দুই বিচারককে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়ে সরকার পুরস্কৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী আকতার হোসেন এবং ওসমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দুই বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রেখে মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক বিচারক থাকা সত্ত্বেও তাদের কেন নিয়োগ দেয়া হলো? খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়াই কি তাদের নিয়োগের মাপকাঠি? তারা দুজন অবসরোত্তর ছুটিতে চলে গেছেন। তারপরও তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর একজনকে ১৩৭ জনকে সুপারসিড করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার কারণে।
সাংবাদিকরা দুই বিচারপতির নাম জানতে চাইলে বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিন ও বিচারপতি মো: আক্তারুজ্জামানের নাম উল্লেখ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে থাকা মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অন্যদিকে এ সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কারো বিরুদ্ধে রায় দিলে একজন বিচারক খারাপ হয়ে গেলেন, এ ধরনের মনোভাব ঠিক নয়। একজন বিচারক অনেক রায় দেন, দুই-একটি রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। কোনো রায়ে ক্ষুব্ধ হলে উচ্চতর আদালত আছে। কিন্তু রায় বিরুদ্ধে গেলে আইনজীবী হিসেবে কথা বলা কাম্য নয়। আমি জানি না তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু বলেছেন কি না, যদি বলে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত রাজনীতিবিদ হিসেবে এ কথা বলেছেন।
এ এম আমিন উদ্দিন আরো বলেন, তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) নবনিযুক্ত বিচাপতিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। যে দুইজনকে সংবর্ধনা দেননি তারা যেহেতু নেত্রীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সেহেতু এটা দেননি। উনারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আমার মনে হয় না বিচারকের বিরুদ্ধে বলা আইনজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
সভাপতির কক্ষে এ এম আমিন উদ্দিন এসব কথা বলেন। তার সাথে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক কাজী শামসুল হাসান শুভ ও নির্বাহী সদস্য চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।