স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রথমবারের মত সমন্বিতভাবে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী। তবে আবেদনকারী ৭৪ হাজার ৪৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রাথমিক বাছায়ে ইতোমধ্যেই বাদ পড়েছে ৩৮ হাজার ৯৫৬ জন। প্রাথমিক বাছাইয়েই এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে বাদ দেওয়ায় তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে।
আগামী ৩০ নভেম্বর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। বাছাই করা হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান জিপিএর ভিত্তিতে। এসএসসি ও এইচএসসি মিলে চতুর্থ বিষয় বাদে ন্য‚নতম যাদের ৯.১৫ রয়েছে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। যারা পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়নি তাদের আবেদন ফি বাবদ নেয়া এক হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে না।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে রয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নূন্যতম জিপিএ ছিল এসএসসি ও এইচএসসি তে সর্বমোট ৭.০০, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬.৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭.৫০। কিন্তু এবারের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ন‚ন্যতম জিপিএ ৯.১৫। বাদ পড়া ৩৮ হাজার ৯৫৬ জনের টাকার হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
যারা পরীক্ষা দিতেই পারবে না অথচ তাদের থেকে এত টাকা নেয়া হল কেন এবং জিপিএ যদি ৯.১৫ পর্যন্তই নেয় তাহলে ৭ পয়েন্ট হলেই আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল কেন তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এছাড়াও ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু এবার একসঙ্গে পরীক্ষা নিচ্ছে সেহেতু সিলেকশন রেঞ্জ নিয়েও চলছে বির্তক।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের থেকে টাকা রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাকৃবি শাখা ছাত্রফ্রন্ট। সকল পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া অথবা তাদের ১০০০ টাকা ফেরত দেওয়া না হলে এর বিরুদ্ধে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
ভর্তি পরীক্ষা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, এবারের পরীক্ষার বিষয়টি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতার ওপর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। নির্বাচিত আবেদনকারীদের ফি ফেরতের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে উদ্বৃত্ত থাকা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।