গাজীপুরে কলেজছাত্র নাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার তার দাদাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিহতরা হলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মেদী আশুলাই পালোয়ান বাড়ি এলাকার লাবিব উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (১৮) ও জহিরুলের দাদা হেলাল উদ্দিন (৮৫)।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার ও নিহতদের পরিবার ও পুলিশ জানায়, মুন্সিগঞ্জে একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করতো জহিরুল ইসলাম। গত কয়েক দিন আগে কলেজ বন্ধ থাকায় সে বাড়ি আসে। বাড়িতে বসেই পুরাতন কাপড় দিয়ে একটা রশির মতো তৈরি করে। সেটি দিয়ে কি করবে বাড়ির লোকজন জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সে বলে, কিছুই করবে না, এমনিতেই সেটি তৈরী করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজন খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন আজ শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে লিচু গাছের ডালের সাথে ওই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জহিরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। এসময় নাতির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার দাদা হেলাল উদ্দিনও মারা যান।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ দু’টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতু জানান, জহিরুলের সাথে কলেজের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি ওই মেয়ে আত্মহত্যা করে। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে জহিরুলও আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
একই পরিবারের দুজনের মৃত্যুর খবরে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।