স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কলেজ চলাকালীন সময়ে ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত শিক্ষার্থী জায়েদুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা নূরজাহান বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০/১১ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামী ঈশ্বরগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহব্বায়ক মশিউর রহমান কাঞ্চনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়,মঙ্গলবার প্রতিশ্রুতি মডেল স্কুলের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে স্কুলের সামনে পৌছতেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে জায়েদুল ইসলাম (১৫)কে ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতেই সে মারা যায়। জাহিদুল দত্তপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র।
মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জায়েদুলের সাথে আন্তস্কুল ফুটবল খেলা নিয়ে কিছুদিন পূর্বে সহপাঠী মেহেদী ও মনিরের বিবাদ হয়। এর জের হিসেবেই এ ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিশ্রæতি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়েব মোহাম্মদ রুপু জানান,পরীক্ষার দু’দিন পূর্বে জাহিদুল আমাকে সহপাঠীদের সাথে বিরোধের কথা জানিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অপারগতা জানিয়ে ছিল। কিন্তু নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতেই হবে বলায় প্রথম দিনের ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঝগড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কোন সমস্যা নেই বলে সে জানায়। পর দিন সাড়ে নয়টার দিকে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দেয়ার জন্য স্কুলের সামনে সহপাঠীরা ধাওয়া করে শিমুলতলী মোড়ে নামক স্থানে জাহিদুলের গলায় ছুরিকাঘাত করেছে বলে শুনতে পাই।
জাহিদুলের মৃত্যুর সংবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী মঙ্গলবার রাতে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বুধবার সকালে নিরাপত্তায় বজায় রাখার স্বার্থে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহমেদ কবীর হোসেন জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এ নেওয়াজী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।