ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারেও মীমাংসা না হলে যে দল সেই ম্যাচে বেশি সংখ্যক বাউন্ডারি মেরেছে তাদের জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালনা সংস্থা আইসিসি-র এই ‘হাস্যকর’ নিয়ম এবার বাতিল হয়ে গেল। বাউন্ডারির হিসাব আর থাকছে না। এবার থেকে কোনো দলের জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে সুপার ওভার। জানিয়ে দিলো বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল কার্যত চোখ খুলে দিয়েছে অনেকেরই। ১৪ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে ইংল্যান্ড বনাম নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ ৫০-৫০ ওভার শেষে টাই। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই হয়। দু দুবার টাই হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। সঙ্গে বিশ্বকাপও। কারণ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারেও মীমাংসা না হলে যে দল সেই ম্যাচে বেশি সংখ্যক বাউন্ডারি মেরেছে তাদের জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। ২০০৯ সালে এই বাউন্ডারি নিয়ম চালু করা হয়। আইসিসি-র এই অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে সরব হন অনেকেই। এবার এই নিয়ম নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে আইসিসি-ও। আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান আইসিসি-র জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস। বিতর্কিত বাউন্ডারি নিয়ম নিয়েই সাবেক ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটি আলোচনায় বসে।
সোমবার দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠক শেষে সুপার ওভার নিয়ে আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ” সুপার ওভারে বেশি রান করা দলই জিতবে। ক্রিকেট কমিটি ও চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটি এই বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যেকোনো একটি দলের জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই (এক ওভারের লড়াই) সুপার ওভার। বাউন্ডারির হিসাব আর থাকবে না।”
সুপার ওভার এখন থেকে টি-টোয়েন্টি এবং ৫০ ওভারের সব ম্যাচের জন্যই প্রযোজ্য। আগে শুধুমাত্র নক আউট পর্বে ফল নির্ধারণের জন্য হতো সুপার ওভারের লড়াই।