এক নারীর দুই স্বামী, এলাকায় তোলপাড়

এক নারীকে দুজন পুরুষ স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী দক্ষিণপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রনচন্ডী দক্ষিণ পাড়াগ্রামের আফজালুল হকের ছেলে মোজাহেদুল ইসলামের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে প্রতিবেশি আতাউর রহমানের মেয়ে আখি মনির। প্রেমিক যুগল গত ৪ এপ্রিল পালিয়ে গিয়ে রংপুরের একটি মেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

কিন্তু প্রেমিকার বাবা আতাউর রহমান আখি মনিকে নাবালিকা দেখিয়ে স্থানীয় থানায় গত ৭ এপ্রিল একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।পুলিশ প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে মোজাহেদুলকে জেলহাজতে পাঠায়। গত ৮ এপ্রিল আখি মনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এসময় আখি মনি মোজাহেদুলকে বৈধ স্বামী হিসেবে দাবি করে।

বিচারক তাকে তার বাবা মার হেফাজতে দিলে আতাউর রহমান গত ২৮ আগস্ট জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী কাচারীপাড়া গ্রামের হাছিমুদ্দিনের ছেলে শহিদার রহমানের সাথে গোপনে আখি মনিকে জোর করে বিয়ে দেয়।

স্বামী দাবিদার মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, দুজনের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে আমার স্ত্রীর বাবা আমাদের মেনে নেয়নি। আখি মনি আমাকে তালাক দেয়নি। সে আমার বাড়ীতে আসতে চাইলে তার বাবা তাকে মারপিট করে।

দ্বিতীয় স্বামী শহিদার রহমান বলেন, পারিবারিকভাবে আখি মনির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। পূর্বে তার স্বামী ছিল কিনা জানি না।

এব্যাপারে আখি মনির সাথে কথা বলতে চাইলে তার বাবা আতাউর রহমান বলেন, সে বাড়ীতে নাই। কোথায় আছে বললে তা তিনি জানেন না।

Share this post

scroll to top