স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারকে হত্যায় জড়িত থাকায় আটক হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে মোনতাছির আল জেমির বাড়ি ময়মনসিংহে। তার বাবা সোনালী ব্যাংক ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিজিএম আব্দুল মজিদ। জেমির পরিবার ময়মনসিংহ শহরেই থাকেন।
জেমির পারিবারিক ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে জেমি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ফাস্ট বয় ছিল। এরপর সে আনন্দ মোহন কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে। প্রায় ২ বছর আগে বুয়েটে ভর্তি হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আবরার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জেমিসহ বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
পুলিশ বলছে, মামলার এজাহারভুক্ত ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল সকালে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেনকে আটক করা হয়। দুপুরের পর পুলিশ এই হত্যার ঘটনায় আটক করে ছাত্রলীগের নেতা অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর ও মোহাজিদুর রহমানকে।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। রোববার রাতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে ১৯ জনকে আসামি করে তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেছেন।