আগেও হামলার শিকার হয়েছিলেন আবরার

আগেও হামলার শিকার হয়েছিলেন নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহিম। সে ঘটনার রেশ ও সর্বশেষ একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়েই তিনি হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, তাদের এক কর্মীর সাথে বিতর্ককে কেন্দ্র করে শেরে বাংলা হলের ২০২ নম্বর রুমের ১৫ ব্যাচের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৩ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নিজেদের রুমে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। সেখানে আবরারের সাথে তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে ১৫ ও ১৬ ব্যাচের ছাত্রলীগের কর্মীরা ২০২ নম্বর রুমে এসে আবরারকে প্রচণ্ড মারধর করে।

এতে বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ’১৫), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল ’১৫), উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ’১৬), সহ-সম্পাদক ফারহান জাওয়াদ চৌধুরী (ইইই ’১৬), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি (’১৬) নেতৃত্ব দেন। তারপর আবরার হল থেকে চলে যায়। ওই রাতেই সাড়ে ৩টার দিকে ’১৭ ব্যাচের জেমির নেতৃত্বে আবরারের সব জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়। পরবর্তীতে ৫ অক্টোবর রাতে জেমির নেতৃত্বে আবার এসে আবরারের কম্পিউটারসহ বাকি জিনিসগুলো নিয়ে যায়।

আবরার সর্বশেষ শনিবার বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাম্প্রতিক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লিখেন।

এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মধ্যরাতে নিজের আবাসিক হল শেরে বাংলা হলে পাওয়া যায় তার লাশ।

Share this post

scroll to top