কুমিল্লার সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম। ওই গ্রাম এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। শনিবার দিবাগত ভোর রাতে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান। কিন্তু তাদের আত্মগোপন নিয়ে কিছুই জানতো না প্রতিবেশীরা। এলাকার ও বাড়ির লোকজন জানতো ঢাকা থেকে ওরা মেহমান হিসেবে বেড়াতে এসেছে।
আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম ফারুক জানান, যে বাড়ি থেকে সম্রাট র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ওই বাড়িটি স্টার লাইন পরিবহনের মালিক হাজী আলা উদ্দিনের ভগ্নিপতি ও স্টার লাইন পরিহনের পরিচালক মনির চৌধুরীর। তিনি আরও জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রথমে র্যাবের ৭-৮টি গাড়ি ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে, পরে রাত বাড়ার সাথে সাথে আরও মোট ১০-১২টি গাড়ি মনির চৌধুরীর বাড়ির পাশে অবস্থান নেয়। ভোর ৫টার দিকে র্যাব সদস্যরা সম্রাট ও তার এক সহযোগীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। তবে ওই বাড়ি থেকে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে কিনা তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
বাড়ির মালিক পরিবহন ব্যবসায়ী মনির চৌধুরীর বোন নাজু বেগম জানান, র্যাব যাদের ধরে নিয়ে যায় তারা গত ৩ দিন আগে এই বাড়িতে এসে ২য় তলার একটি কক্ষে অবস্থান নেয়, সেখানেই তাদের খাবার দেয়া হতো, কখনো বাসার বাইরে বের হতো না। আমাদেরকে জানানো হয় তারা বেড়াতে এসেছেন। তিনি আরও জানান, ৩ মাস আগে তার ভাই এই বাড়িটি নির্মাণ করে। অভিযানের সময় মনির চৌধুরী বাসায় ছিল বলেও তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মনির চৌধুরী এলাকায় তিনি ছক্কা নামে পরিচিত। মাঝে মধ্যে গাড়িতে করে বিভিন্ন লোকজন বাড়ি আসতো। সর্বশেষ সহযোগীসহ সম্রাট ওই বাড়িতে আসলেও স্থানীয়রা জানতো বাড়িতে মেহমান এসেছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান জানান মনির চৌধুরীর সাথে জাময়াত-শিবিরের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। সে কখনো আমাদের রাজনীতি করেনি আমরা জানি তিনি একজন পরিবহন ব্যবসায়ী।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, অভিযানের বিষয়ে পুলিশের নিকট কোন তথ্য নেই। তিনি আরও জানান, পরিবহন ব্যবসায়ী মনির চৌধুরী কে তাও তিনি জানেন না।