নেত্রকোনা সংবাদদাতা : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাড়ীর জায়গা বেদখল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চান মিয়া নামে এক মুক্তিযোদ্ধার উপর । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের সান্দিকোনা বাজার সংলগ্ন পটুয়াপাড়া গ্রামে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে পটুয়াপাড়া গ্রামের সখিনা খাতুন প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর আগে জনৈক রাজ্জাক মিয়ার নিকট থেকে ৬ শতক ভুমি ক্রয় করে।
সখিনার দাবী ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ভূমি ক্রয় করা হয়েছে। এর কিছুদিন পর ওই ভুমিতে ঘর তৈরী করার জন্য ইট, রডসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি আনতে শুরু করে এবং ঘর নির্মাণের উদ্যেগ নেয়। এতে বাধ সাধে সখিনার ক্রয়কৃত ভূমি সংলগ্ন বসবাস করা মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
এদিকে সখিনা জানায়, তার ক্রয়কৃত ভূমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়াসহ তার লোকজন বাধা দেয়। এসময় সখিনাকে মারধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত জায়গায় যেতে পারছেন না সখিনাসহ তার পরিবার। এছাড়াও জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে চান মিয়া গংরা। তিনি
তার জমি উদ্ধার করে ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সখিনা আরো জানান, এ নিয়ে সম্প্রতি সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদে গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ ডাকা হয়। সালিশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম। এতে কয়েক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। গ্রাম্য সালিশে বিরোধপূর্ণ জায়গার ১০লাখ টাকা মূল্য ধার্য করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া ও তার ভাই সুরুজ মিয়া জানান, সখিনা খাতুন নামে মহিলার বাড়ি বেদখলের বিষয়টি সম্পুর্ণ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। মুলত ওই মহিলা যেখানে জায়গা দাবি করছে সেখানে তার নামে কোন জমি নেই। তিনি দাবী করে সখিনা যে দাগের জায়গা কিনেছেন দলিলে তা নেই। গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে ওই জমি ১০লাখ টাকা মূল্য
ধার্য্য করে রায় দিলে রায় মেনে নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের কাছে টাকা জমা রাখি কিন্তু ওই নারী তা অমান্য করে এবং ভুয়া কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এদিকে স্থানীরা জানায়, অচিরেই এ বিষয়টি মীমাংশা না করলে যেকোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সকলেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং এটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও কোন প্রকার আইনশৃংখার অবনতি যাতে না হয় সেদিকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।