ঢাকাWednesday , 2 October 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারত প্রতিবেশীর সমস্যায় দৃষ্টিপাত করে না : কৃষিমন্ত্রী

Link Copied!

ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিবেশীদের কোনো সমস্যা ভারত ‘আমলে নেয় না’। তারা দাম বাড়িয়ে দেয় অথবা ট্যাক্স বসায় অথবা এক্সপোর্ট ব্যান করে। তিনি বলেন, আগাম বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে- তাই পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে, এ বিষয়ে আগেই পরিকল্পনার দরকার ছিল। এবার বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও যে ঠিকমতো পরিকল্পনা সাজাতে পারেনি। তবে দ্রুতই বিদেশ থেকে পেয়াজ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীতে ফার্মগেইটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল মুয়িদ।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, জাতিসঙ্ঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিইআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবীর ইকরামুল হক বক্তৃতা করেন।

ভারত সরকার বৃষ্টি আর বন্যায় এবার পেঁয়াজের ফলন মার খাওয়ায় অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগাম বৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। সারাদেশে উৎপাদনও কমেছে। সুতরাং আগে পরিকল্পনা নেয়া উচিত ছিল। নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। বর্তমানে এর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার গল্পটা হলো- প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাদের দেশে পর্যাপ্ত থাকার পরও বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে দাম বাড়তি। তাদের কোনো প্রব্লেম হলেই- দে ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট দেয়ার নেইবার। তারা দাম বাড়িয়ে দেয় অথবা ট্যাক্স বসায় অথবা এক্সপোর্ট বন্ধ করে দেয়। ২০১১ সালে আমাদের সমস্যা হয়েছিল, তখনও তারা তাদের সারপ্লাস থাকা সত্ত্বেও এক্সপোর্ট বন্ধ করেছিল। এবারও তাদের দেশে দাম বেড়ে গেছে, এজন্য এক্সপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে। অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের এই সংকটকে ‘সাময়িক। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনার। এর অংশ হিসেবে মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করতে পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ট্রাকে করে ‘ন্যায্য মূল্যে’ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে- মিডিয়াও খুব সেনসিটিভ। আমি বলব, এটা মেইন ফুড নয়, আমাদের  মেইন স্পাইস। আমরা এটার ব্যাপক ব্যবহার করি। এবছর পেঁয়াজের সমস্যা হয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন এমন একটি ফসল, কোনো বছর কৃষক বিক্রিই করতে পারে না। আবার কোনো বছর দাম বেড়ে যায়। তবে এবার বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও যে ঠিকমতো পরিকল্পনা সাজাতে পারেনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আসলে আমাদের প্রডাকশনের আগে একটা প্ল্যান করা উচিত ছিল। আগাম বর্ষা হওয়ায় প্রডাকশনে লস হয়েছে। মার্চের শেষের দিকে বৃষ্টি হয়েছে। এজন্য পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে দামও অস্বাভাবিক।

মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। কৃষিও দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভুমিকা রাখবে। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখন কৃষির আধুনিকায়নের কাজ চলছে। আমরা এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি এখন এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দানাদার খাদ্য তালিকায় ভুট্টার তেমন অবদান ছিল না। দেশের কৃষি বিজ্ঞানিদের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, ফলে দেশের ভুট্টার উৎপাদন দিন দিন বেড়ে চলছে। ভুট্টা এখন যুক্ত হচ্ছে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে। ভুট্টার ভবিষৎ খুবই ভালো। তবে কৃষি তথা ভুট্টার জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে বিভিন্ন কীট পতঙ্গ আর মধ্যে বেশি ক্ষতিকার হচ্ছে ফল আর্মিওয়ার্ম যেটি দমনের কোনো কীটনাশক নেই। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকর কিট পতঙ্গ নজরদারির কৃষির জন্য মঙ্গলজনক। সোলার পদ্ধতিতে পরিবেশ বান্ধব কীট পতঙ্গ দমন করার জন্য ই-পেষ্ট কার্যক্রম খুবই উপযোগী।

দলের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, ইশতেহারে যা যা রয়েছে সব বাস্তবায়ন করা হবে। দেশে আর কারোই অভুক্ত থাকার সুযোগ নেই। পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য অবশ্যই নিশ্চিত করবে সরকার

কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, ফল আর্মিওয়ার্ম ছাড়াও অনেক ধরনের কিট পতঙ্গ রয়েছে, সেগুলোর নজরদারির জন্য এবং সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে কীটপতঙ্গ দমনের জন্য এই প্রকল্প সত্যি কৃষির জন্য ভালো। আমরা এ সকল কীট পতঙ্গ দমন করে ২০২১ সালের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন ৬১ লাখ টনে উন্নিত করবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।