ম্যান ইউ’র বিরুদ্ধে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ড্র করল আর্সেনাল। ওল ট্র্যাফোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়।
সোমবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পালটা আক্রমণ চলে। তবে অগোছালো ফুটবলে প্রতিটি আক্রমণের শেষটা হচ্ছিল দৃষ্টিকটু।
ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যে সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দু’জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শট নিয়েছিলেন পেরেইরা। কিন্তু তা ঝাঁপিয়ে আটকে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনো।
বিরতির ঠিক আগে ম্যাচ চরম উত্তেজনায় পৌঁছায়। প্রতি-আক্রমণে মার্কাস র্যাশফোর্ড ডি-বক্সে ঢুকে শট নিলেও তা কার্যকরী হয়নি। এর মিনিট দুয়েক পর আর্সেনালের দুটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ম্যান ইউ গোলরক্ষক দাভিদ হিয়া। তবে ম্যান ইউ’র গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বিরতির ঠিক আগেই অর্থাৎ ৪৫ মিনিটে ম্যান ইউ-কে এগিয়ে দেন ম্যাকটমিন। বাইলাইন থেকে র্যাশফোর্ডের কাটব্যাক ডি-বক্সের বাইরে ফাঁকায় পেয়ে বুলেট গতিতে তা আর্সেনালের জড়িয়ে দিতে সক্ষম হন ম্যাকটমিনে। ০-১ পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই আউবামেয়াং-এর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় আর্সেনাল। তবে ৫৮ মিনিটে আর্সেনালের গোলটি ছিল ঘটনাবহুল। ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান আউবামেয়াং। কিন্তু অফ-সাইডের পতাকা তুলে ধরেন লাইন্সম্যান। তবে ভিএআর-এর সাহায্যে রেফারি গোলের বাঁশি বাজালে উল্লাসে ফেটেন আর্সেনাল সমর্থকরা।
কিন্তু মিনিট পাঁচেক পর আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যান ইউ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পল পগবার জোরাল শট পোস্টের গা-ঘেঁষে চলে যায়। এছাড়াও ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল ম্যান ইউ। কিন্তু র্যাশফোর্ডের শট ঝাঁপিয়ে আটকে দেন লেনো। সেই সাথে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফেরে আর্সেনাল।
এই ড্রয়ের ফলে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল উনাই এমেরির দল। আর ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে গত ৩০ বছরে সবচেয়ে খারাপ শুরু ম্যান ইউ’র। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সাত ম্যাচ শেষে ত্রয়োদশ স্থানে ছিল ‘রেড ডেভিল’রা। সাত ম্যাচের সব কয়টিতে জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে ম্যান সিটি। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লেস্টার সিটি।