লক্ষ্মীপুরে ইউপি ‍সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দওপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিলনকে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলাদাদপুর মসজিদের দক্ষিণ পাশে লিটনের মুদি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। বটতলী-দত্তপাড়া সড়কের দক্ষিণ দিক থেকে মোটর সাইকেলযোগে আসা একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী লিটনের মুদি দোকানে এসে মিলনকে উদ্দেশ্য করে অর্তকিত কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মিলন নিহত হন। নিহত মিলন দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে মিলন মেম্বার স্থানীয় ওই দোকানে চা খেতে খেতে এলাকাবাসীর সাথে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিল। এ সময় কয়েকটি মোটর সাইকেলযোগে একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ছুটে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে কী কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানায়, নিহত মিলন মেম্বার ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলেও বিগত কয়েক বছর থেকে তিনি সন্ত্রাসী পথ পরিহার করে। এরপর তিনি নির্বাচন করে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকেন।

এদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন বেলাল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিলন হত্যাকন্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে, সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।

Share this post

scroll to top