আফগান নির্বাচন বানচালে একের পর এক বিস্ফোরণ

আফগানিস্তানে শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালে দেশব্যাপী একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তারা এসব বিস্ফোরণ ঘটায়। এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় বহু সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। খবর এএফপি’র।

এর আগে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিভিন্ন হামলায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। রক্তক্ষয়ী এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ’র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে হামলা চালানো হবে বলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তালেবান ফের হুমকি দেয়। দুই মাসের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালেও তারা একের পর এক হামলা চালায়।

হাসপাতালের এক পরিচালক এএফপি’কে বলেন, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার নগরীতে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভোট গ্রহণ শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা পর একটি ভোট কেন্দ্রে এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, দেশের আরো অনেক ভোট কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
কাবুলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেয়ার পর গনি বলেন, ‘শান্তি হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণের প্রথম চাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘শান্তির জন্য আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত। আমি চাই জনগণ আমাদেরকে অনুমতি ও বৈধতা দেবে যাতে আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে পারি।’

এ নির্বাচনে প্রায় ৯৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। তবে অনেক ভোটার তাদের আশা হারিয়ে ফেলেছেন কারণ যুদ্ধ অবসানের দীর্ঘ ১৮ বছর সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো নেতা দেশটির বিভিন্ন দলের মধ্যে সঙ্ঘাত নিরসনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি।

স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় আফগানিস্তানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী প্রায় পাঁচ হাজার ভোট কেন্দ্রে এ ভোট শুরু হয়।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭২ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

Share this post

scroll to top