সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হায়দার আলি তোতার বাড়ি থেকে নয় জুয়াড়িসহ টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের মুনজিতপুরে হায়দার আলি তোতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. কামরুজ্জামান(৫৪), শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার মৃত ইরফান আলীর ছেলে গোলাম রব্বানি (৪০), পলাশপোশ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৪২), মধ্যকাটিয়া লস্কারপাড়া এলাকার মৃত মাসুদুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক (৫৪), কাটিয়া দাশপাড়া এলাকার কফিল সরদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪৯), আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের মৃত ছামাদ সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), কলারোয়া উপজেলার লোহাগড়া গ্রামের মৃত সাছুদ্দিন সরদারের ছেলে মো. আলাউদ্দিন সরদার (৫৮), একই উপজেলার চাড়াঘাট গ্রামের মৃত আবুল ফজলের ছেলে মো. শাহিন হোসেন (৩৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে মো. জালাল সরদার (৩৪)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান চন্দ্র পাল জানান, শহরের মুনজিতপুর এলাকার একজন আ’লীগ নেতার বাড়িতে জুয়ার আসর বসেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মুনজিতপুর এলাকার আ’লীগ নেতা হায়দার আলি তোতার বাড়ি থেকে নয় জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৪৯ হাজার টাকা, কয়েক কার্টুন তাস, গোলাকার টেবিল এবং খাতাপত্র জব্দ করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুনজিতপুর এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, সদর থানা থেকে মাত্র কয়েক’শ গজ দূরে আ’লীগ নেতা হায়দার আলী তোতার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর ও বিভিন্ন বয়েসের নারী-পুরুষদের আনগোনা চলে অসছিল। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে এতদিন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হায়দার আলি তোতা সাতক্ষীরা সদর আসনের এম পি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির আপন মামাতে ভাই ও জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলামের আপন চাচা হওয়ার কারনে তার নিজ বাড়ীতে এ সব অপকর্ম দীর্ঘ চলে আসছিল বলে আরো জানা যায় ।
এলাকাবাসী আরো জানায়, আ.লীগ নেতা হায়দার আলি তোতার সহদর জেলা ওলামা লীগের সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হক বকুল ও তার বাড়ী সংলগ্ন সরকারী মহিলা কলেজের সামনে চরপটি বইও বিভিন্ন দোকান ঘর তুলে তার পিছনে প্রমোদ খান গড়ে তুলেছে । এখানে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের আনাগোন দেখা যায় রাত পর্যন্ত।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।