ঢাকাSunday , 3 June 2018
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কারাগারকে নিরাপদ ভাবছেন মাদক মামলার আসামীরা

Link Copied!

বাংলাদেশে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে একশ’র বেশি মানুষ নিহতের পাশাপাশি আটক হয়েছে কয়েক হাজার ব্যক্তি।

গত মাসের মাঝামাঝি এ অভিযান শুরুর পর সরকারের তরফ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।

মাদক বিরোধী অভিযান বিশেষ করে ইয়াবার জন্য আলোচিত কক্সবাজার এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে কাউন্সিলর মো. একরামুল হক হত্যার ঘটনায়।

এ ঘটনার পর ভয় আর আতঙ্কে মাদক মামলায় আটক থাকা আসামীরা এখন আর জামিনের আবেদনই করতে রাজী হচ্ছেন না বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। খবর বিবিসি বাংলা।

কক্সবাজারের জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বলছেন, অভিযান শুরুর পর আসামীদের জামিন আবেদন বা মুক্তির জন্য চেষ্টাই কমে গেছে।

পাবলিক প্রসিকিউটর মমতাজ আহমেদ বলছেন, ব্যাপক অভিযানের কারণে আদালত জামিন আবেদন প্রায় নেই বললেই চলে।

একজন আইনজীবী বলছেন আসামীদের জামিনের জন্য তাদের পক্ষে যারা আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করছিলেন তাদেরই এখন পাওয়া যাচ্ছে না।

জেল সুপার আখন্দ বলছেন, রোববার কক্সবাজার কারাগারে মোট বন্দী সংখ্যা তিন হাজার ১৭৩ জন এবং মোট বন্দীর মধ্যে বেশিরভাগই অর্থাৎ ৬৫ ভাগই মাদক বিশেষ করে ইয়াবা মামলার আসামী।

তিনি বলে, মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর আগে গড়ে প্রতিদিন ১৫/২০ জন জামিনের আবেদন জানাতো আদালতে বা তারা মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতো।

কিন্তু এখন গত কয়েকদিন আসামীদের পক্ষে এ ধরনের তৎপরতা একেবারেই কমে গেছে। টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে হত্যার পর থেকে প্রতিদিন মাত্র ১/২ জন আসামীর মধ্যে এ ধরণের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।

জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর মমতাজ আহমেদ বলছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের কারণে আদালতে আসামী পক্ষের আবেদন অনেকখানিই কমে গেছে।

যদিও তিনি মনে করেন মামলাগুলোর তদন্তকারী কর্মকর্তারা সক্রিয় ও উদ্যোগী হলে এমন পরিস্থিতি হতো না।

আহমেদ বলেন, অভিযানের আগে প্রতিদিন ২০/২২টি জামিন আবেদনের শুনানি হতো জেলা দায়রা জজ আদালতে, যা এখন কয়েকটিতে নেমে এসেছে।

“সাধারণত এই আদালতে মাদক মামলার আসামীদের জামিন হয় না। এখানে নামঞ্জুর হওয়ার পর আসামীরা উচ্চ আদালতে যান। আর আমাদের এখানে শিশু-কিশোর কিংবা নারী এমন আসামীরা হয়তো জামিন পেয়ে থাকেন”।

তিনি বলেন, “তারপরেও এখন যারা আটক আছেন তাদের দিক থেকে আইনজীবীদের তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে বলে জানান মিস্টার আহমেদ। যদিও কক্সবাজারে উল্লেখযোগ্য কোন মাদক ব্যবসায়ীই গ্রেফতার হননি”।

কক্সবাজারের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলছেন, মাদকের বিশেষ করে ইয়াবা মামলার অনেক আসামী এখন কারাগারকে নিরাপদ জায়গা বলে মনে করছে।

“বাইরে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। তাই অনেকেই মনে করছেন এ সময়টা জেলেই থাকি।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।