মা হয়েছে প্রতিবন্ধী কিশোরী, দায় নিচ্ছে না ‘বাবা’

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে তবে সে সন্তানের দায় নিচ্ছে না অভিযুক্ত ব্যক্তি। সন্তানটির পিতৃপরিচয়ের দাবিতে বিভিন্ন জনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন কিশোরীর ভিক্ষুক নানী।

উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি।

জানা যায়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীটি (১৫) তার নানীর সাথে থাকতো। প্রতিবেশী নানা নইমুদ্দিনের (৫৫) লালসার শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মধ্যস্থতায় সমাধানে ব্যর্থ হলে জুন মাসে নইমুদ্দিনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের চার মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি।

এদিকে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী একটি কন্যাসন্তান প্রসব করে। সন্তান জন্মের পর সন্তানের বাবার পরিচয়ের দাবি নিয়ে কিশোরীর নানী মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ এলাকার অনেকের কাছে গিয়েছেন, তবে কেউই তাকে পাত্তা দেয়নি।

অপরদিকে, গত শুক্রবার বিয়ের দাবি না করা এবং ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর দায়িত্ব না নেয়ার শর্তে নইমুদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে কিশোরীর নানীকে ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানান কিশোরীর নানী রাবেয়া বেগম। তাদের প্রস্তাবে তিনি রাজি নন। তিনি তার নাতনীর সন্তানের পিতৃপরিচয় চান।

পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, প্রথম দিকে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত প্রথমে রাজি হলেও পরে গাঢাকা দেয়। তাই মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

এলাকার সচেতন মহল মনে করে শিশুটির ডিএনএ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করলেই সমস্যাটির সমাধান করা সহজ হবে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, আসামি পলাতক রয়েছে, তবে তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।