লিটন-শান্তকে হারিয়ে পথ খুঁজছে বাংলাদেশ

শুরুতেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। লিটন ৪ রান করে মুজিবুর রহমানের শিকার হয়ে এবং শান্ত ৫ রান করে ফেরেন নাভিদ উল হকের শিকার হয়ে।

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান।

এর আগে ত্রিদেশীয় ‍টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দিলো আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে হযরতউল্লাহ জাজাইর ব্যাট থেকে।

শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।  বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯.৩ ওভারে ছক্কা-চারের বৃষ্টি ঝরিয়ে ৭৫ রান তোলেন দুই আফগান ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৭ রান করা জাজাইকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাত নম্বরে বোলিং আক্রমণে আসা ডান-হাতি অফ-স্পিনার আফিফ হোসেন। মুস্তাফিজুর নহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জাজাই। অবশ্য ইনিংসের ১১তম বলেই মাহমুদুল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ মিস না করলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারতো এ জুটি।

নিজের প্রথম ও ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে জাজাইকে থামিয়েছন আফিফ। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে আবারো উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন আফিফ। তিন নম্বরে নামা সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান ২ বলে শূন্য রান করে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।

দলীয় ৭৫ রানে জাজাই-আসগর ফিরে যাবার পরই নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। তাই ৭৫ থেকে ১১৪ রানে পৌছাতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।

তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া আরেক ওপেনার গুরবাজ। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ২৯ রান করেন তিনি শিকার হন মুস্তাফিজের।

এরপর আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী লেগ বিফোর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৬ বলে ৪ রান করেন তিনি। বোলারদের উইকেট শিকারের মাঝে ফিল্ডাররাও চমক দেখান। ছয় নম্বরে নামা গত বিশ্বকাপের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন মাহমুদুল্লাহ। নাইব করেন ১ রান। দলীয় স্কোর শতরান থেকে ৪ রান দূরে থাকতে নাইব ফিরেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে।

আর দলীয় ১০৯ রানে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বিদায় দিয়ে আফগানিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানকে বিদায় দিয়ে আফগানিস্তানকে ছোট স্কোরে আটকে রাখার পথ তৈরি করেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আফিফকে ছক্কা হাঁকানো জাদরান ১৬ বলে ১৪ রান করেন।

পরের ওভারে নিজের প্রথম উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের টেল-এন্ডারে আঘাত হানেন শফিউল। ৩ রান করে আউট হন আট নম্বরে নামা করিম জানাত।

দলীয় ১১৪ রানে জানাতের বিদায়ের পর ইনিংসের শেষ ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের মামুলি পুঁজি এনে দেন শফিকুল্লাহ ও অধিনায়ক রশিদ খান। শফিকুল্লাহ ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে অপরাজিত ২৩ ও রশিদ ১৩ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন।

বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে আফিফ ২টি, সাইফউদ্দিন, সাকিব, শফিউল ও মোস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেন

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top