ইকবাল হাসান : নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্তবর্তী রামনাথপুর সংলগ্ন মহেশখলা নদীপথে ও টাঙ্গুয়ার হাওরপথে স্বদেশীপণ্য ভারতের মেঘালয়ে প্রতিদিন পাচার হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য চোরাচালান কেন্দ্রগুলো হচেছ বাগলি, ছায়াগাঁও, বড়ছড়া, রামনাথপুর।এ পথে নেত্রকোনা জেলা হতে গভীররাতে নৌকায় পৌঁছে সীমান্ত চোরাচালান কেন্দ্রে। অতপর সীমান্ত পেরিয়ে ট্রাকে ভারতের অসাধু ব্যবসায়ীরা এসবপণ্য ক্রয় করে নেয়।
অপরদিকে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে এসব কেন্দ্র হয়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দা চোরাচালান কেন্দ্রে আসে কাপড়, তেজপাতা ,চা, মোটর বাইক, মেশিন, পান, সুপারি, মশলা, মাদকদ্রব্য, বিড়ি আনারস, কমলালেবু। নাসির বিড়ি, নেত্রকোনা সীমান্তবাসীর প্রিয়পণ্য। একসময় চোরাইপথে পাহাড়ের সুড়ঙ্গ দিয়ে ছারাগাঁও, বড়ছড়া এলসিকেন্দ্র স্থাপনের পূর্বে বিপুল পরিমাণ কয়লা রাতে আসত।
ময়মনসিংহের খাঁজা ট্রেড লিংর মালিক শাহ খাঁজা মোহাম্মদ রেজাউল হক এ তিনটি এলসিকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি দূর্গাপুরের বিজয়পুরে, শেরপুরের নাকুগাঁও এলসিকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ ও গ্রহণ করেন। নিরাপত্তার জন্য এসব এলসিকেন্দ্র সীমান্ত এলাকার ২/৪ কিলোমিটার পর পর নেত্রকোনা সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্প আছে।
অন্যদিকে ভারতসীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্প রয়েছে। এরই ফাঁকে মোবাইলে কন্টাক্ট করে দ্রত চোরচালান পাঁচার করে পালিয়ে যায় দু-দেশের চোরাকারবারীরা। ফলে বঞ্চিত হচেছ দু-দেশের সরকার রাজস্ব হতে।
রামনাথপুর আমদানী ও রপ্তানীকারক (অভ্যন্তরীন) সমবায় লিমিটেড় এর সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রামনাথপুর সংলগ্ন মহেশখলা নদীপথে ও টাঙ্গুয়ার হাওরপথে স্বদেশীপণ্য ভারতের মেঘালয়ে প্রতিদিন পাচার হচেছ। এলসিকেন্দ্র হলে বৈধপথে দুদেশে ব্যবসা চলবে সরকার রাজস্ব আয় করতে পারবে।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা বেগম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ চোরাকারবার চলে আসছে। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
কলমাকান্দা থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এসব কেন্দ্র বিজিবি ও বিএসএফ নিয়ন্ত্রণ করে। এলসিকেন্দ্র হলে বৈধপথে দুদেশে ব্যবসা চলবে সরকার রাজস্ব আয় করতে পারবে।