গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ

আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে চাকরি নিতে এসে এক তরুণী (১৮) ধর্ষিত হয়েছে। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় আশুলিয়ার জামগড়া হিয়ন গার্মেন্টস সংলগ্ন আইজ উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোস্তাফিজুরের কক্ষে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় লম্পট ধর্ষক মোল্লা তোহা (২৪) ও তার সহযোগী মোস্তাফিজুর সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা ওই তরুণী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত ধর্ষক মোল্লা তোহা বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার জামগড়া হিয়ন গার্মেন্টস সংলগ্ন শরীফের বাড়িতে ভাড়া থেকে মুদি ব্যবসা করে। অন্যদিকে ধর্ষক মোল্লা তোহার সহযোগী মোস্তাফিজুর সরকার ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ কেষ্টপুর এলাকার মৃত খাদিমুল ইসলামের ছেলে। সে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আইজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে মুদি ব্যবসা পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত তোহা ও মোস্তাফিজুর পরস্পর বন্ধু।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতা ওই তরুণী জানান, গার্মেন্টসে চাকরি নেয়ার জন্য সম্প্রতি তিনি তার গ্রামের বাড়ি থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আহাম্মেদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া খালা শাপলা আক্তারের বাসায় আসেন। এই সুবাদে পাশের মুদি দোকানদার তোহা’র সাথে চাকরির বিষয় নিয়ে আলাপ হয় তার। ঘটনার দিন গত বুধবার ধর্ষক তোহা তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর সরকারের ভাড়া কক্ষে বেলা ৩টায় নিয়ে যায়। ওই সময় তার খালা শাপলা গার্মেন্টসে ডিউটিরত ছিল। সেখানে তাকে (ধর্ষিতা তরুণী) ও তোহাকে রেখে মোস্তাফিজুর দরজা আটকে দিয়ে বাইরে বের হয়ে যান। এরপর তোহা তাকে ধর্ষণ করে এবং ভয়-ভীতি দেখায়। বিষয়টি পরে তার খালাকে জানালে তার সহায়তায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত জাভেদ মাসুদ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে পাঠায়। পাশাপাশি ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top