থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে : খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আস্তে আস্তে এই অবৈধ সরকারের থলের ভেতর থেকে কালো বিড়াল বেরিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে অনৈতিক ও অস্বাভাবিক ভাবে। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হকের সঞ্চালনায় এবং সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সম্প্রতি আপনারা দেখছেন আওয়ামী লীগের যুবলীগ নেতারা কিভাবে অবৈধভাবে ঢাকা শহরে ক্যাসিনো চালাচ্ছে। কিভাবে লুট করেছে চাঁদাবাজি করছে। একজন যুবলীগ নেতার বাড়িতে ১৮০ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। বৈদেশিক মুদ্রার বস্তা পাওয়া গেছে সেখানে কত টাকা পাওয়া গেছে তা এখনো বলা হয়নি।

তিনি বলেন, একজন যুবলীগের সামান্য সমবায় সম্পাদকের বাড়িতে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ক্যাশ পাওয়া গেছে তাহলে আপনারা বুঝতে পারেন তাদের চেয়ে (যুবলীগের) একটু বড় নেতা যারা তাদের বাড়িতে কত টাকা পাওয়া যাবে। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকে ৮৬ কোটি টাকা চাঁদার দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আমরা ধারণা করতে পারি তাদের উপর লেভেলের নেতাদের এর চেয়ে বড় বড় দুর্নীতি আছে। তাদের বাড়িতে অনুসন্ধান করলে এর চাইতে বেশি অবৈধ সম্পদ পাওয়া যাবে। আমরা বলতে চাই আস্তে আস্তে এই অবৈধ ও অস্বাভাবিক সরকারের থলের ভেতর থেকে কালো বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে সব কিছু অস্বাভাবিক ব্যাংক লুট ব্যাংকের রিজার্ভ লুট বিভিন্ন চাঁদাবাজি, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেয়া ছাড়া ভর্তি হতে পারে। তারা ছাত্রলীগের ছেলে। আজকে সমাজের সকল ক্ষেত্রে পচন লেগে গেছে।

দুর্নীতির দায়ে হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতিকে দায়ী করা হচ্ছে, দুদক কর্মকর্তাদের দায়ী করা হচ্ছে, পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়ী করা হচ্ছে, কারা কর্মকর্তাদের দায়ী করা হচ্ছে। সকল প্রতিষ্ঠানে আজকে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা তাদের হাতেই তারা ধরা পড়ছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ক্যাসিনোগুলো প্রশাসনের সহযোগিতায় চলছে তা না হলে থানা থেকে কয়েক গজ দূরে এরকম ক্যাসিনোর চলতে পারো না। শুধু ক্যাসিনো না এমন কোন অনৈতিক অন্যায় নাই যে এই অবৈধ সরকার করে না।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top