ইয়েমেনের হুদাইদায় সামরিক অভিযান শুরু সৌদি জোটের

ইয়েমেনের বন্দর নগরী হুদাইদার উত্তরে গতকাল শুক্রবার সামরিক অভিযান শুরু করেছে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। সম্প্রতি সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর ওই সামরিক অভিযানের ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ওই সামরিক অভিযানের ঘাঁটিকে ‘বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু’ বলে অভিহিত করেছে ওই জোট।

১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দু’টি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হাউছিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে ওই হামলার জবাব দেয়ার সক্ষমতা রিয়াদের আছে বলে সে সময় হুঁশিয়ারি দেয় দেশটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সামরিক অভিযান চালায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা করতে চারটি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ‘লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চল ও বাব-আল-মান্দেব প্রণালীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিপিং লাইনকে হুমকি দিতে হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন চারটি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমরা অভিযান-আতঙ্ক প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম। কয়েক মাস শান্তিতে ঘুমিয়েছি। তবে রাতে বিস্ফোরণ ও বিমানের শব্দে আমাদের ভীত করেছে, সেগুলো (বিমানগুলো) নগরীর আকাশে উড়ছে।’
২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় এবং প্রেসিডেন্টকে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হাউছিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

সূত্র : রয়টার্স

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top