বিদায়ী ম্যাচে ‘মাসাকাদজা ঝড়ে’ উড়ে গেলো আফগানিস্তান

সব চমক যেনো বিদায়ী ম্যাচের জন্য জমিয়ে রাখলেন। রীতিমতো আফগান বোলারদের উপর চালিয়েছেন ব্যাটিং তাণ্ডব। দলকে জেতালেন নিজেও জিতলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

আফগানদের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে পাড়ি দেয় জিম্বাবুয়ে।

এর আগে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ঝড়ো ৬১ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্র করে আফগানরা।

শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে হযরতউল্লাহ জাজাইকে সঙ্গে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ওপেনিং জুটিতে ৯.৩ ওভারে ৮৩ রানের ‍জুটি গড়েন তারা। কিন্তু এরপর ৭২ রান যোগ কতে হারায় তারা ৭ উইকেট।

২৪ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন হযরতউল্লাহ। ভালো শুরুর পরও ওয়ান ডাউনে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি শফিকুল্লাহ। তিনি ফেরেন ১৩ বলে ১৬ রান করে।

ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ফিফটির পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন আফগান এ ওপেনার। তবে শেন উইলিয়ামসের বলে লেগ বিহাইন্ডে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৭ বলে চারটি চার ও দৃষ্টি নন্দন চারটি ছক্কায় ৬১ রান করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

তার পরের দুই ওভারে আফগানরা হারায় মোহাম্মদ নবী (৪) আর নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (৫)। এরপর আর কেউ সেভাবে ব্যাট হাতে ভয় ছড়াতে পারেননি। গুলবাদিন নাইব ৭ বলে ১০ আর রশিদ খান ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে ক্রিস এমপুফু ৩০ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন।

আফগানদের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রেন্ডন টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।।

উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে ৪০ রান তুলেন দুজনে। ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন টেইলর। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যহত রাখেন মাসাকাদজা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি তুলে নেন।

অর্ধশতক হাঁকানোর পর আরও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যান হ্যামিল্টন। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের জয়ের পথ সহজ হয়ে যায়। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৪১ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান। খেলার এমন অবস্থায় লংঅনে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মাসাকাদজা। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ৫টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৭১ রান করেন জিম্বাবুয়ের এ অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর জয়ের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়নি জিম্বাবুয়েকে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top