বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকার জন্য যদি জেলখানায় যায় তাহলে ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতে জন্য কবে জেলখানায় যাবেন?
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার দলের লোকেরা নিজেরাই বলছেন, ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগের মধ্যেও অনেক কিছু আছে। ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঘটনাটার সাথেও অনেকে জড়িত আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, যে মামলায় বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এই মামলার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। সেই টাকা আজ ছয় কোটিতে রুপান্তরিত হয়েছে। দুই কোটির যায়গায় ছয় কোটি হলে আত্মসাত করা হলো কিভাবে?
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীনতা করে রাখা সম্ভব হয়েছে। আর দেশে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। অলিখিত বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। সুতরাং তিনি মুক্তি না পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।