রায়পুরায় অপহরণের ৩ দিন পর নদীতে মিলল শিশুর লাশ

নরসিংদীর রায়পুরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অপহরণ করে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশুর নাম মো: হোসেন মিয়া (৬)। অপহরণের ৩ দিন পর বাড়ির পাশের কাকন নদীতে শিশুর ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে অপহরণের পর বলাৎকার করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পারিবারিক ও সূত্র জানায়, নিহত শিশু হোসেন মিয়া উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের আপন মিয়ার ছেলে। অপহরণের তিনদিন পর সোমবার সকালে বড়কান্দা এলাকার কাকন নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তিনি একই এলাকার হত্যা মামলার আসামী মো: মোস্তফা মিয়ার (মস্তু) ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইসলামের বাবা মোস্তফা মিয়াকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক শিশুকে বাড়ি ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে নিহত শিশুর বাবা দিনমজুর আপনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলার আসামী মোস্তফার ছেলে ইসলামের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সাথে খেলারত অবস্থায় শিশু হোসেনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্তের বাড়িতে শিশুটির বাবা-মা তার সন্তানের খোঁজ করতে গেলে বাড়ি গৃহকর্তা তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে বের করে দেয়। পরে ঘটনার পরদিন রোববার শিশুটির বাবা রায়পুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এরপর ঘটনার তিনদিন পর সোমবার কাকন নদীতে শিশুটির লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ইসলামের বাবাকে আটক করেছে।

এ ব্যাপারে নিহত শিশু হোসেন মিয়ার আত্মীয় লিটন মিয়া জানায়, অভিযুক্ত ইসলাম ও বাবা মোস্তফার বিরুদ্ধে এলাকায় হত্যা, ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত সাত বছর পূর্বে নিজ ভাগ্নেকে হত্যার অভিযোগে কারাভোগের পর গত দুই বছর আগে জামিনে ছাড়া পান মোস্তাফা। বাবার মতো ছেলেও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।

শিশুটির দাদি জমিলা খাতুন বলেন, তার নাতিকে ইসলাম ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি তার নাতির সন্ধানে তাদের বাড়িতে গেলে উল্টো তারা তাকে হুমকি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর তার লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। নিহত শিশুর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।রায়পুরায় অপহরণের ৩ দিন পর নদীতে মিলল শিশুর লাশ

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top