মাথায় মাথা ঠুঁকলে নাকি শিং গজায়- এ কথার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও এ বিশ্বাসটা প্রচলন রয়েছে। কিন্তু মাথায় মাথা না ঠুঁকলেও মানুষের শিং গজায়। তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও উদাহরণও রয়েছে। আর শিংওয়ালা মানুষের দেখা মিলেছে।
ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্য প্রদেশের সাগর জেলার রহলি গ্রামের বাসিন্দা ৭৪ বছরের শ্যামলাল যাদবের মাথায় শিং গজিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন- এটা অবাক করার কিছু না। এটা একটা রোগ। মানুষের মাথায় শিং গজাতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এর চিকিৎসাও রয়েছে।
জানা গেছে, বছর কয়েক আগে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন শ্যামলাল যাদব। তারপরই মাথার সামনের অংশটা ফুলে যায়। আর সেখানে সিংয়ের মতোই একটি পিণ্ড গজিয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও উঁচু হতে থাকে।
প্রথম প্রথম মাথার তালুতে এই অদ্ভুত জিনিসটি দেখে বেশ অবাক হতেন শ্যামলাল বাবু। মাঝে মাঝে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেও পড়তে হতো তাকে। অবশ্য পরে বিষয়টির স্বাভাবিক হয়ে ওঠে তার কাছে। অনেক সময় নিজে নিজেই সেটি কেটে ফেলার চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিন্তু তা ক্রমেই সিংয়ের আকার ধারণ করে।
ইন্ডিয়া টাইমস জানায়, পরে শ্যামলাল যাদব চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। যান সাগর জেলার ভাগ্যদয় তীর্থ হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসক ডা. বিশাল গাজধ্যি অস্ত্রোপচারের তার শিং অপসারণ করেন।
চিকিৎসকরা জানান, এটি আসলে সেবাসিয়াস হর্ন, যা ডেভিলস হর্ন নামেও পরিচিত। শরীরের যে অংশটি সবচেয়ে বেশি রোদ পায়, সাধারণত এটি সেখানেই গজিয়ে ওঠে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা সরিয়ে ফেলা সম্ভব।
যাদবের মাথায় আঘাত লাগার পরই এটি দেখা দিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর সম্প্রতি শ্যামলালের মাথা থেকে নামে সিং। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তিনি।
ডক্টর বিশাল জানান, যাদবের মাথায় এক্স-রে করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল সেবাসিয়াস হর্নটির (শিং) শিকড় মাথার খুব ভিতর পর্যন্ত পৌঁছায়নি। সে জন্যই অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে।