ত্রিদেশীয় সিরিজে চট্টগ্রাম পর্বের দুই ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন।
ঢাকায় জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের সাথে খেলা দল থেকে চারজন নেই। নেই ঢাকার পর্বে দুই ম্যাচ খেলা বাঁ-হাতি উইলোবাজ সৌম্য সরকার। তার সাথে বাদ দেয়া হয়েছে দুই ম্যাচের একটিতেও খেলার সুযোগ না পাওয়া স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান, সাইড স্ট্রেইনে ভোগা পেসার আরাফাত মিশু এবং শেষ মুহূর্তে সংযোজন হওয়া বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি।
দলে নেয়া হয়েছে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এছাড়াও দলে ফিরেছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম।
বাঁহাতি ওপেনার নাঈম ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে এর মধ্যেই খেলেছেন বাংলাদেশে ‘এ’, ইমার্জিং দল ও বিসিবি একাদশে। সবচেয়ে বড় চমক বলা যায় অলরাউন্ডার আমিনুলকে।
দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডে খেলা বাঁ-হাতি টপ অর্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর এখনো টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়নি। হয়তো চট্টগ্রামের মাঠেই হতে পারে তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক।
নাঈম শেখ আগে থেকেই পাইপ লাইনে ও বিশেষ বিবেচনায় ছিলেন। বাংলাদেশের পরের প্রজন্মের যে হাতে গোনা ক’জন মাত্র তরুণ ফ্রি স্ট্রোক খেলতে পারেন এবং পেস বলে স্বচ্ছন্দে হাত খুলে খেলার সামর্থ্য রাখেন- নাঈম শেখ তাদের অন্যতম।
এদিকে, আমিনুল বিপ্লব মূলত মিডল অর্ডার, সাথে লেগস্পিন বোলিংটাও পারেন। করেনও। তাই আলোচনায় থাকা সাইফ আর ইয়াসির রাব্বিকে পেছনে ফেলে আমিনুল বিপ্লবই নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করে নিলেন। এখানে আরেকটি বিষয় বিবেচ্য, তা হলো, বিপ্লবকে দিয়ে দলে একজন লেগ স্পিনারের অভাবও পূরণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দীন, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং নাজমুল হোসেন শান্ত।