৩২ রানে ৪ উ্ইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই লিটন দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুজিবুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই নাজিব তারকাইকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন লিটন। দ্বিতীয় ওভারে ফারিদ মালিকের বোল্ডের শিকার হয়ে ব্যকিত্গত ৫ রানে ফেরেন মুশফিক। দরীয় ৩০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রানে মুজিবের বলে রশিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। ব্যাট করতে মুজিবের ঘূর্ণি ফাঁদে এলবিডব্লিউর মিকার হয়ে নেমে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরাকার।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ ৪১ রান।
এর আগে মোহাম্মদ নবীর ৫৪ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগনরা।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
সাকিব-সাইফউদ্দিনের অ্যাকশনে শুরুতেই ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান। প্রথম বলেই স্ট্যাম্প ওড়ালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের অফ স্ট্যাম্পে আঘাত হানেন সাইফ। ইনিংনের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলে হযরতউল্লাহ জাজাইকে ১ রানে ফেরান সাকিব আল হাসান। নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে নাজিব তারাকাইকে বাউন্ডারিতে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন সাইফউদ্দিন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে সাকিব ফেরালে মোটামুটি ভালো চাপে পড়ে আফগানিস্তান।
সেখান থেকে দলকে বিপদমুক্ত করার দায়িত্ব নেন নবী ও আসগর। দুজনের ৭৯ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচেও ফেরান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৩৭ বলে ৪০ রান করে আফগান ফিরলেও রীতিমতো ঝড় তোলেন নবী। ৫৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৮৫ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলেন নবী। আসগর-নবীর ব্যাটে ওপর ভর করে বাংলাদেশের সামনে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশী বোলারদের মধেঘ্য সাইফউদ্দিন ৪টি ও সাকিব ২টি উইকেট শিকার করেন।