রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একমাত্র সাধারণ পাঠাগারটি দিনদিন পাঠক শুন্য হয়ে পড়ছে। সাধারণ পাঠকদের অভিযোগ- সর্বত্র প্রতিনিয়ত পরির্বতনের ছোঁয়া লাগলেও এই পাঠাগারটি অযত্নে-অবহেলায় ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। আধুনিক মানের পাঠাগার গড়ে তুলতে পারলে এখানে আবারো পাঠক আসবেন বলে আশা তাদের।
উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন বই পড়ার আগ্রহ থাকায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে অডিটরিয়ম ভবনের একটি কক্ষে গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে সাধারণ পাঠাগারটি চালু করা হয়। পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রকার উন্নত মানের বই পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। পাঠকরা যেন পাঠাগারে এসে নিয়মিত পড়াশুনা করতে পারেন সেটা তত্ত্বাবধানের জন্য একজন ইনচার্জও রাখা হয়।
সাধারণ পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক বাবু বলেন, দিনদিন সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে যাচ্ছে। হাতের নাগালে তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মাঝে পাঠাগারে যাতায়াতের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে এক সময়কার পাঠক পরিপূর্ণ পাঠাগারটি দিনে দিনে পাঠকশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
অপর এক পাঠক আরমান আলী বলেন, পাঠাগারটিতে এক সময় দৈনিক পত্র-পত্রিকার পাঠকই ছিলেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এছাড়া বিভিন্ন বই পড়ার জন্যও অনেক পাঠক এখানে ভীড় জমাতেন। সব সময় পাঠকে পরিপূর্ণ থাকতো সাধারণ পাঠাগারটি। দিনদিন পাঠকের সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যবান বইগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি আধুনিক মানের প্রযুক্তি দিয়ে পাঠাগারটি গড়ে তোলা হলে এখানে আবারো পাঠক সংখ্যা বাড়বে।
সাধারণ পাঠাগারের ইনচার্জ ফজলুল হক বলেন, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পাঠক এখানে আসলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন যথা সময়ে পাঠাগার খোলা থাকলেও এখন হাতে গোনা মাত্র দু’তিন জন পাঠক নিয়মিত আসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, পাঠাগারটি পুরোনো ব্যস্থাপনায় চলছে। সবর্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিন্তু পাঠাগারে নতুন বইয়ের সংগ্রহ নেই। হয়তো পাঠকরা তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শুধু বই কেন্দ্রীক পাঠাগারে আসতে চাচ্ছেন না। তবে এটাকে আধুনিক মানের পাঠাগার হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।