বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) টেকনিক্যাল ক্যাডার চালুর দাবিতে বুধবার শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনুষদের সকল ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। মানববন্ধন চলাকালে অনুষদের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরা এসেও আন্দোলনে একাতœতা ঘোষণা করেন।
ইমরান সিদ্দিক পান্তর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য দেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হক, ফার্ম স্টাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মো. রায়হানুল ইসলাম, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জরুল আলম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন মিঠু, অতীশ বড়–য়া, আব্দুর রহমান, কৌশিক, মাশহুর প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা অবলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য অনুষদের ন্যায় বিসিএসে টেকনিক্যাল ক্যাডার চালু করার জোর দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন কৃষি প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্র দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিনা), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ব্রি) প্রভৃতি সরকারি প্রতিষ্ঠানে খুবই সীমিত সংখ্যক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আবার বি.সি.এসে কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশলীদের জন্য টেকনিক্যাল ক্যাডার না থকায় প্রকৌশলীরা কৃষকের দাড়গোড়ায় গিয়ে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সন্তোষজনক ক্ষেত্র না পেয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ছে কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশলীরা। এতে কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশলীদের অর্জিত
জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না অর্থাৎ সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনিয়োগ বৃথা যাচ্ছে। যান্ত্রিকীরণের যুগে বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ খুবই কম। অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভর হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পেশাগত ক্ষেত্রে কৃষি প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ না থাকায় দেশের কৃষিতে প্রযুক্তির ছোয়া লাগছে না বলেও মানববন্ধনে অভিযোগ করেন তারা।