১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর ১৩ সদস্যের দলে ডাক পেয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু নামে এক নতুন মুখ।
নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া ইয়াসিন আরাফাত মিশুর ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন ছিলো ক্রিকেটের প্রতি। পড়া ফাঁকি দিয়েও ক্রিকেট খেলতে চলে যেতেন মাঠে। মিশুর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে তাঁর বাবা মাকে সাভারের বিকেএসপিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক।
তার পরামর্শেই পরবর্তীতে বিকেএসপিতে ভর্তি করা হয় মিশুকে। আর সেখানে ভর্তি হয়েই নিজের জাত চেনান তরুণ এই প্রতিভাবান পেসার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার সুযোগ এখান থেকেই হয় মিশুর। আর বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে ছোট থেকে লালন করা স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তেও চলে এসছেন তিনি।
এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে ২০ বছর বয়সী দীর্ঘদেহী ডানহাতি ফাস্ট বোলার মিশুকে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭টি প্রথম শ্রেণির ও ৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে গেল বছর হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মিশু। ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট, যা লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
শুধু তাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অষ্টম সেরা বোলিং ফিগারের মালিকও বনে গিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই পারফর্মেন্সে যে মাশরাফিই ছিলেন মূল প্রেরণা তা বলাই বাহুল্য। মিশুর কথাতেই তাই ফুটে উঠলো মাশরাফি স্তুতি। নিজের রোল মডেলকে নিয়ে তিনি বলছিলেন,
বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে রোল মডেল মানেন মিশু। আর তার গুরু হিসেবে ছিলেন কোচ সালাউদ্দিন।
মিশু প্রতিভাবান একজন পেসার। দীর্ঘদিন ছিলেন আলোচনায়। এই প্রতিভা রক্ষায় এগিয়ে আসলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। সুযোগ দিলেন স্বপ্ন পূরণের। এবার বাকী কাজটা করতে হবে মিশুকেই। প্রতিদান দিতে হবে আস্থার।