নতুন মাইলস্টোন স্থাপন করার দিনেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন লসিথ মালিঙ্গা। ওয়ান ডে ম্যাচে পর পর চার বলে ৪টি উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব আগেই দেখিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান স্পিড-স্টার। এবার আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে পর পর চার বলে ৪টি উইকেট নিলেন মালিঙ্গা। একই সঙ্গে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এবং ১০০ উইকেটের মাইলফলক টপকে গেলেন তিনি।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে এমন বিরল নজির গড়েন মালিঙ্গা। ২০০৭ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পর পর চার বলে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন লসিথ। এবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মালিঙ্গা আউট করেন যথাক্রমে কলিন মুনরো, হামিশ রাদারফোর্ড, কলিন ডি’গ্র্যান্ডহোম ও রস টেলরকে।
মালিঙ্গা ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার যিনি আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে পর পর চার বলে ৪টি উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এর আগে এই নজির গড়েন আফগান লেগ-স্পিনার রশিদ খান৷ তবে এদিন সব মিলিয়ে ম্যাচে মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন তিনি। এদিন পাল্লেকেলেতে দুরন্ত হ্যাটট্রিকের সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন টপকে যান মালিঙ্গা। তিনি পিছনে ফেলে দেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে। টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনালে আফ্রিদি ৯৭ উইকেট নিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মালিঙ্গা। ক’দিন আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম সিরিজেই খেলে ফেলেছেন কেরিয়ারের শেষ ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনাল। কেবলমাত্র টি-২০ ক্রিকেটেই শ্রীলঙ্কার জার্সি গায়ে চাপান মালিঙ্গা। এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে এখনও সমান কার্যকরী তিনি।
মূলত মালিঙ্গার ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ের জেরেই নিউজিল্যান্ড ১৬ ওভারে ৮৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তার আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময় ১২৫ রান তোলে। অর্থাৎ সিরিজ হারতে হলেও শেষ টি-২৯ ম্যাচে ৩৭ রানের সান্ত্বনার জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
সিংহলিদের হয়ে গুণতিলকে ৩০, ডিকওয়েলা ২৪ ও মধুশঙ্কা ২০ রান করেন। ৩টি করে উইকেট নেন স্যান্টনার ও অ্যাস্টল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান ক্যাপ্টেন টিম সাউদির। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্কের রান বলতে কলিন মুনরোর ১২ ও স্যান্টনারের ১৬। মালিঙ্গার ৫ উইকেট ছাড়াও ধনঞ্জয়া নেন ২টি উইকেট। ম্যাচর সেরা হয়েছেন মালিঙ্গা। সিরিজ সেরা সাউদি।