২০১৭ সালে আরাকান থেকে বিতাড়িত রাষ্ট্রবিহীন সাড়ে সাত লাখ নারী-পুরুষ, শিশু-যুবা, বৃদ্ধ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার মানুষ যে মানবিকতা, উদারতা ও সহৃদয়তার পরিচয় দিয়েছেন তা নজিরবিহীন। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ শিশু। স্থানীয় জনগণ তাদের জমিজমা ও পশুচারণভূমি শরণার্থীদের জন্য ছেড়ে দেন। টেকনাফ-উখিয়ায় ৩৮টি রোহিঙ্গা শিবির স্থাপিত হয়। প্রথম দিকে মিয়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা বিধ্বস্ত শরণার্থীদের খাবার রান্না করে পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যবস্থাপনায়। দু’বছরের ব্যবধানে পরিস্থিতি পাল্টে যায় অনেকটা। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়ায় এবং দু’বার এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে বেশ চির ধরেছে। তৈরি হয়েছে বেশ কিছুটা ক্ষোভ, আস্থাহীনতা ও সন্দেহ। কিছু রোহিঙ্গার বেপরোয়া আচরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আতঙ্ক জন্ম দিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক আশ্রয় পাওয়া এই জনগোষ্ঠী এই দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্রমেই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে স্থানীয় জনগণের ধারণা।
কুতুপালং, বালুখালি, ময়লার ঘোনা ও কেরণতলি এলাকার বন ও পাহাড় কেটে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বসতি গড়ে তোলায় কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের ছয় হাজার একর এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার। বন উজাড় হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকার আর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে টেকনাফ ও উখিয়ায় ১১ লাখ ১৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। একটি ছোট্ট এলাকাতে এতগুলো মানুষের অবস্থানের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিপন্ন হওয়াই স্বাভাবিক।
এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার উদ্দেশে বন বিভাগ সাত বছরের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ১৩ হাজার একর জমি ও পাহাড় এই প্রকল্পের আওতায় এনে নতুন বন সৃজন করা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা বিক্ষুব্ধ। ৩০ হাজার রোহিঙ্গা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে কম মজুরিতে। তবে এতে স্থানীয় শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। টেকনাফ-উখিয়ায় স্থানীয় জনগণের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ। রোহিঙ্গা শরণার্থী স্রোতে কারণে তারা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকেলে ক্যাম্প থেকে কক্সবাজার শহরে ফিরে আসেন পরদিন আবার ৯টায় কর্মস্থলে যোগ দেন। ফলে রাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো থাকে অরক্ষিত। এ সুযোগে অপরাধ সঙ্ঘটিত হয় রাতে। কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও কোনো কোনো সশস্ত্র গ্রুপ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সক্রিয়। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কিছু জায়গা ঘিঞ্জি, পথগুলো বেশ সরু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে ওখানে রাতের বেলা পৌঁছা সম্ভব নয়, নিরাপদও নয়।
প্রতিটি ক্যাম্পে এক লাখেরও অধিক কিশোর-কিশোরী রয়েছে, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭। ঘুম থেকে উঠেই ঘুরে বেড়ানো ও আড্ডায় মেতে ওঠা ছাড়া এদের কাজ নেই। মাদরাসা ও স্কুল থাকলেও তারা পড়ালেখা করতে আগ্রহী নয়। তারা যেকোনো সময় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশাসন এদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে নানা সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চুরি, ডাকাতি, মারামারি, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র বিক্রি, ইয়াবা পাচার, দেহ ব্যবসায়, মানবপাচারের সাথে তাদের অনেকে সম্পৃক্ত। রোহিঙ্গারাই মূলত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা বহন করে থাকে। কক্সবাজারের র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের হাতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, পূর্বশত্রুতা, ইয়াবার কারবার, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় মারা গেছে ওদের ৪৩ জন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধে দুই বছরে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। এক হাজার ৮৮ জন আসামি। ২২ আগস্ট রোহিঙ্গারা ওমর ফারুক নামে স্থানীয় এক যুবককে ধরে পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এতে স্থানীয় লোকজন কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং রোহিঙ্গা নেতার ঘর ভাঙচুর করে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সরকার, জাতিসঙ্ঘ, দেশী-বিদেশী এনজিও এবং বিভিন্ন জেলার মানবতাবাদী ব্যক্তিরা রোহিঙ্গাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকের মতে, ফ্রি থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা, ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও রেশন পাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ। আন্তর্জাতিক সংস্থা ৫০ হাজার ল্যাট্রিন তৈরি করে দিয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আট হাজার পয়েন্ট নির্মিত হয়। শিশুদের মেধা বিকাশ ও খেলাধুলার জন্য ইউনিসেফ ক্যাম্পে গড়ে তুলেছে ১৩৬টি শিশুবান্ধব কেন্দ্র। ক্যাম্প জীবনে সন্তান জন্ম দেয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ৬০ হাজার করে রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে। সচেতনতার অভাবে বেশির ভাগ শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জন্মের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে পাঁচ বছরে আরো তিন লাখ মানুষ রোহিঙ্গা মিছিলে যুক্ত হবে।
রোহিঙ্গাদের দেখভালে নিয়োজিত কিছু এনজিওর কর্মতৎপরতা নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি উঠেছে। তারা আন্তর্জাতিক কোনো গ্রুপের দীর্ঘমেয়াদি এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে; এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। একটি দৈনিক যে প্রতিবেদন ছেপেছে, তা প্রণিধানযোগ্য। ২৫ আগস্টের রোহিঙ্গা সমাবেশ নিয়ে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, রেনুলাভ বি কসম্যান নামে এক বিদেশী গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসেন। ওই দিন ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে তার থাকার জন্য রুম বুক করা হলেও তিনি সেদিনই কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে চলে যান।
তার বিরুদ্ধে উল্লিখিত সমাবেশ আয়োজনে বিপুল অর্থ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। তার সাথে সাংবাদিক পরিচয়ধারী এক ব্যক্তিও সার্বক্ষণিকভাবে ছিলেন। এ ছাড়া ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ধারী অন্য এক বিদেশী নারীও রোহিঙ্গা সমাবেশে ছিলেন তৎপর। এই সমাবেশের আয়োজনে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকটি দেশী-বিদেশী এনজিওর বিরুদ্ধেও। এর মধ্যে কক্সবাজারের ‘মুক্তি’ নামের একটি এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, তারা রোহিঙ্গাদের অর্থ ছাড়াও সমাবেশের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দেয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করেছে। উল্লেখ্য, সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে ৪১টি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ এটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম উদ্যোগ দীর্ঘায়িত হলে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো যায় কি না, বাংলাদেশ সরকার সেটাও বিবেচনায় রাখতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণে বাংলাদেশকে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। সম্প্রতি ন্যানোস রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কানাডাতে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে দেখা যায়, ৬২ শতাংশ কানাডীয় বলেছেন, কানাডায় রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়া হলে তারা স্বাগত জানাবেন। এর আগে বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৯০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় পুনর্বাসন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্থগিত করে। সরকার মনে করে, ভিন্ন কোনো দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করার প্রক্রিয়া চালু থাকলে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশের আন্তরিক প্রয়াস সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন কবে হবে, কখন হবে তা বলা কঠিন। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের দায়িত্ববোধ ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যেসব শর্ত রয়েছে, সেটা রাখাইনে গিয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে তাদের আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থান করলে এ দাবি পূরণ হবে না।’ রোহিঙ্গা নেতাদের কথা হলো- ‘নাগরিকত্বসহ পাঁচ দফা পূরণ না হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না’। এতে পরিস্থিতির গভীরতা অনুধাবন করা যায় এবং এর সমাধান খুব একটা সহজ নয়। এতে সময় লাগবে। রোহিঙ্গাদের আদি ভূমি রাখাইন (আরাকান) প্রদেশ নিয়ে চীন, জাপান ও ভারতের কোটি কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ও সামরিক কৌশলগত স্বার্থ বিদ্যমান। ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ৭০ হাজার একর জমি বন্দোবস্ত দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে তাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে হয়। এ অবস্থায় বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
(ক) শিবিরের আশেপাশে আরো পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন। (খ) শিবির এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। (গ) ৩৮টি ক্যাম্প সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা। (ঘ) গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা। (ঙ) ইয়াবা পাচারকারী, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। (চ) স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি। (ছ) ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রশস্ত রোড তৈরি করা, যাতে স্বল্পসময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন। (জ) রোহিঙ্গাদের নেতা ও মাঝিদের সাথে মতবিনিময়। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এর সাথে সম্পৃক্ত করা। (ঝ) ক্যাম্পের সন্নিহিত এলাকায় নিবিড় বনায়ন সৃজন এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য গড়ে তোলা। (ঞ) ক্যাম্পের চার দিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ। (ট) ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কর্মরত ১৩৯টি এনজিওগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা। (ঠ) রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য এবং কারিগরি ও হস্তশিল্প বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
সব রোহিঙ্গা খারাপ, অপরাধী বা অকৃতজ্ঞ- এ কথা ঠিক নয়। তাদের মধ্যে ভালো, ভদ্র, শালীন ও বিবেচনাবোধসম্পন্ন অনেক মানুষ আছেন। অবশ্য সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণ না থাকায় বেশির ভাগ রোহিঙ্গার জীবনাচারে আইন না মানার প্রবণতা দেখা যায়। দুনিয়ার খবরাখবর থেকে তারা বিচ্ছিন্ন। সংবাদপত্র পাঠ ও টিভির সংবাদ দেখারও ব্যবস্থা নেই তাদের জন্য। এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে এবং উসকানির মুখে শান্ত থাকতে হবে। উপকার করতে গেলে কিছুটা হলেও ক্ষতি স্বীকার করতে হয়। রোহিঙ্গারা আমাদের প্রতিবেশী দেশের রাখাইন সন্ত্রাসীদের অমানবিক নির্যাতনের শিকার এই মানুষেরা। বাস্তুভিটা, সহায় সম্পদ ও আপনজন হারিয়ে তারা আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা অটুট থাকুক।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ওমর গণি এমইএস ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম