আফগান অধিনায়কের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

তিন ফরম্যাটেই আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর তার ওপরই বর্তেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেটে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব। দলনায়ক হিসেবে পাঁচ দিনের ফরম্যাটের অভিষেকে একমাত্র টেস্টে রশিদের আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে দল দুটির লড়াই। তিন ফরম্যাটের আফগান অধিনায়ক হিসেবে রশিদের সামনে উদ্ভাসিত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে এই প্রতিবেদন :

দলীয় ঐক্য
জয়শূন্য বিশ্বকাপের পর প্রয়োজনীয় সংযোজন/বিয়োজনে কুণ্ঠা করেনি আফগানিস্তান। তারা অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে দেশীয় প্রতিনিধি রশিদকে। দলটির শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ দলীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা। সদ্য-সমাপ্ত বিশ্বকাপে আফগানদের হতাশাজনক নৈপুণ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মাঠের বাইরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত টিম স্পিরিট। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় ওই প্রক্রিয়ায়। ফলে দলনায়ক হিসেবে ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ ভূমিকা রাখবে রশিদের দলীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার সাফল্য/ব্যর্থতার ওপর।

সিমন্সবিহীন আফগানিস্তান
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের পর আফগান ক্রিকেটে সমাপ্তি ঘটেছে ফিল সিমন্স অধ্যায়ের। তবে প্রত্যাশিত বিদায়ের সৌভাগ্য জোটেনি সাবেক ওই কোচের। প্রধান নির্বাচকের সাথে মতনৈক্যই আকস্মিক আফগান অধ্যায় গুটিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন সিমন্স। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অ্যান্ডি মোলসের অধীনে তিন ফরম্যাটের দলনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটছে রশিদের। বিশ্ব ক্রিকেটের এই সুপারস্টারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে সিমন্সের শূন্যতা পূরণের কাজ।

অধিনায়কত্ব : ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স
ওয়ানডে ফরম্যাটে এক শ’রও বেশি খেলায় আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন আসগর আফগান। তার ব্যাটিং গড় ২৩ দশমিক ১২ রান। দলনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ নবিও উল্লেখ করার মতো নৈপুণ্য প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনন্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রশিদ। সীমিত ওভারের ফরম্যাটে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুপারস্টার হিসেবে। অধিনায়ক হিসেবেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের সহজাত ধারা অটুট রাখার চ্যালেঞ্জের মুখে রশিদ।

ব্যাটিং ইউনিট
ব্যাটিং আফগানিস্তানের অন্যতম দুর্বল জায়গা। ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অনেকাংশেই নির্ধারণ করবে আফগান ক্রিকেটে অধিনায়ক রশিদ অধ্যায়। যদিও এ ক্ষেত্রে তার করণীয় অত্যন্ত সীমিত। তার নিয়ন্ত্রণ বাইরে একটি ইউনিট হিসেবে আফগানদের পারফরম করার ধারাবাহিকতা প্রদর্শন। ফলে ব্যাটিং ইউনিটের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নৈপুণ্য বের করে আনার চ্যালেঞ্জও থাকছে অধিনায়ক রশিদের সামনে।

তরুণ্যের পরিচর্যা
একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক রশিদ খান। বাংলাদেশ সফরে প্রথমবারের মতো দেশটির জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডাক পেয়েছেন বেশ কয়েকজন উদিয়মান ক্রিকেটার। ইব্রাহিম জারদান, ইয়ামিন, জহির খান ও কুয়াইস আহমেদের মতো তরুণদের সঠিকভাবে লালন করার বাড়তি দায়িত্ব পালনও করতে হবে রশিদকে।

Share this post

scroll to top