তারাকান্দা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এন্ড ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও শিশুর প্রাণহানির অভিযোগ উঠায় মঙ্গলবার তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের হরিয়াতলা গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী মালা আক্তার(৩০) সন্তান প্রসবের জন্য(৩০ আগষ্ট), শুক্রবার, প্রজাবতখিলার আবু তাহেরের স্ত্রী আনারকলির প্ররোচনায় তারাকান্দা দক্ষিন বাজারস্থ সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এন্ড ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য আসে। ডাক্তার ছাড়াই উল্লেখিত সাইন বোর্ডে লেখা সাবেক ব্র্যাক কর্মী দ্বারা পরিচালিত মোছাঃ শামিমা আক্তার ও হাসিনা আক্তার দ্বারা পরিচালিত প্রসুতির ডেলিবারী করা হয়। ডেলিবারীর পরে মালা আক্তারের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটতে দেখে তরিগড়ি তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বলে। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই রাস্তায় প্রসুতি মালা আক্তারের মৃত্যু ঘটে। ১দিন পর প্রসুতি মালা আক্তারের নবজাতকের মৃত্যু হয়। পারিবারিক গোরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুগে সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে থেকে গর্ভবতীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না স্বজনেরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে কামারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওই ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার জন্য যায়। ওই সময় ডেলিবারী করানোর জন্য ভূক্তভোগী খোকন মিয়ার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকায় নেয় শামিমা আক্তার ও হাসিনা আক্তার। টাকা নেওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শহিদুল্লাহ খান। ওই সময় শামিমার স্বামী আরিফুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন এই উপজেলার হর্তাকর্তা আমরাই। এ ধরণের ঘটনা অহরহই হয়। মৃত মালা আক্তারের স্বামী ও তার পিতা হাবিবুল্লাহ জানান, মালা গর্ভবতী থাকাকালীন অবস্থায় ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে করা পরিক্ষা-নিরীক্ষায় সকল রিপোর্ট ভাল ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে মঙ্গলবার তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারমিন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমে উক্ত ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেন। এ সময় উপস্থি ছিলেন, উপজেলা সেনিটারী ইন্সপেক্টর মজনু মিয়া ও তারাকান্দা থানা পুলিশ।