সাপের দংশনে মেয়ের মৃত্যুর পর এবার মাকেও সাপের কামড়

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মেয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না সইতেই এবার নিজেই সাপের কামড়ের শিকার হলেন শিশুটির মা। মাত্র ১৬ দিন পূর্বে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে মেয়ে ইসমা খাতুনের (৫) মৃত্যু হয়। সোমবার রাতে একই ঘরে মেয়ের মতই ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয় মা নার্গিস আক্তারকে (৩০)। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত নার্গিস আক্তার উপজেলার লোকমানপুর এলাকার চিথলিয়া গ্রামের দিনমুজুর ইসলাম আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মেয়ের মৃত্যুতে শোকে কাতর মা সোমবার রাতে তার স্বামী ইসলাম আলীর সাথে পাটকাঠির বেড়া ও টিনের তৈরি নিজেদের ছাপড়া ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার গভীর রাতে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে রাতেই তাকে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে গত ১৭ আগষ্ট একই ঘরে বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে ছিল শিশু ইসমা খাতুন। গভীর রাতে শিশুটিকে সাপে কামড় দিলে অন্য কিছুতে কামড় দিয়েছে ভেবে পরিবারের লোকজন গুরুত্ব দেননি। পরে অবস্থা খারাপ হলে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশু ইসমার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এছাড়াও ওই একই দিনে একই এলাকার প্রতাপপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী চায়না বেগমকে সাপে কামড় দিলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই এলাকায় তিন জনকে সাপের কামড় এবং তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

Share this post

scroll to top