সাংবাদিক মাসুদ ভাট্টির করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম তফাজ্জল হোসেন তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে উদ্যোগী হওয়ার মধ্যে এক টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে ২০টির মতো মামলা হয়।
২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এরপর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
গত বছরের ২১ অক্টোবর সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
তবে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের তিন মাসের বেশি সময় পর ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।