রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা): জীবন যুদ্ধে হার মেনে না ফেলার দেশে চলে গেলেন নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মবিন ইবনে সাঈদ লেনিন। রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকার শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন তার ছোট্ট ভাই মবিন ইবনে সাঈদ স্ট্যালিন।
ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিতে অংশ নেয় ত্যাগী এই নেতা। আর্দশ নেতৃত্বে জন্য দুর্গাপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন আওয়ামী লীগের অবস্থান ছিলো খুব করুন তখন শক্ত হাতেই দলের জন্য প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নেত্রকোনা ১ আসনে এমপি পদে নির্বাচিত করেন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহীকে। এর পর ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জন্য ছুটেছেন গ্রাম থেকে শহরে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের জন্য প্রচার প্রচারনায় তার ভূমিকা ছিলো অনেক।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে মরন বেধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুর, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতেও যাবার কথা ছিলো তার। কিন্তু গত ২০ আগষ্ট শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২১ আগষ্ট ঢাকার শ্যামলী স্প্যাসালাইজড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রাখা হয়। গত ২৫ আগষ্ট শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বের করে শহীদ সোহ্রায়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২য় তলা, ওয়ার্ড নং ৭, বেড নং ৪৮ ভর্তি করা হয় তাকে।
এর পর থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেল তিনি। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় আবারো শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চায় ছোট্ট ভাই মবিন ইবনে সাঈদ স্ট্যালিন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অকালেই পরিবার-পরিজন ও এক মাত্র মেয়ে রোজ কে রেখেই মরন বেধি ক্যান্সারে কাছে হার মেনে থেমে গেলো জীবনের চাকা। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই শহীদ সোহ্রায়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিছানায় জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মবিন ইবনে সাঈদ স্ট্যালিন জানায়, লেনিন ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে রাতেই দুর্গাপুরের পথে রওনা হয়। সোমবার সকাল ৬ টায় মরদেহ তার জন্ম ভূমি ও রাজনৈতিক স্থান দুর্গাপুরে নিয়ে আসি। পরিবারের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক স্থান দুর্গাপুরে সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয় মাঠে বাদ জোহর জানাযায় নামাজ শেষে পৌরসভার কবরস্থানেরই তাকে দাফন করা হবে ।
এই দিকে তার মৃত্যুর খবর শুনে শোকের ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে টাইমলাইন যেনো ভরে গেচ্ছে সর্বদা হাসি খুশি থাকা ব্যক্তি লেনিনের ছবিতে । কারো বা ভাই কারো বা বন্ধু কেউ যেনো মেনে নিতে পারছেনা তার অকাল মৃত্যুাকে। বাক রোদ্ধ হয়ে পরেছে উপজেলার প্রতিটি রাজনৈতির দলের সকল নেতাকর্মীরা। মরদেহ নিয়ে খবর শুনে তাকে শেষ বারের মত দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছূটে আসছেন সকলেই। সবাই একটাই দোয়া জীবনের মধ্য ভাগে এসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যে কষ্টটুকু ভোগ করে তার বিনিময়ে যেনো মহান আল্লাহ তাল্লা তার ভাগ্যে জান্নাত নসিব করেন।
শুরু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয় শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল (বিএনপি), দুর্গাপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, প্রেসক্লাব, সাধারণ মানুষ সহ সকল দলেন নেতা কর্মীরা।