বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো?

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন তার সঙ্গী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

সাকিব নাকি রিয়াদকে বলেছিলেন, পাওয়ার হিটিং ব্যাটিং করতে। কিন্তু রিয়াদ টেস্টের মেজাজে স্লো মোশনে ব্যাটিং করেন। তার ব্যাটিংয়ে বিরক্ত হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে সাকিব অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বলেছিলেন, পরের ম্যাচে যেন মাহমুদউল্লাহকে বসিয়ে রাখা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। যে এই বিষয়টা বলেছে বা এই সংবাদ করেছে, তিনি কাজটা ঠিক করেননি। বিশ্বকাপের সময় সাইফউদ্দিনকে নিয়ে একটা সংবাদ ছাপা হলো। ও নাকি বড় দলের বিপক্ষে ভয়ে খেলে না। এসব খবর কি দলের জন্য ভালো? দলে যারা ছিল তারা জানে এই নিউজ কে করিয়েছে। সাইফউদ্দিন কি খেলেনি? একটা দলকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য এসবই যথেষ্ট।’

কোনো সাংবাদিক যখন এ রকম তথ্য পাবেন, তিনি তো লিখবেনই…

সাকিব বলেন, ‘আমি সাংবাদিকের দোষ দিচ্ছি না। ভেতর থেকে তথ্যটা যে গেছে, সেটা খারাপ। আপনি জানবেন কখন? যখন আমি বলব, যখন আমাদের কেউ বলবে, তখনই জানবেন। ভেতর থেকে যখন এসব খবর বাইরে যাবে, দলের ভালো করার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা ওই সময় কমে যাবে। যেটা আমাদের ফলাফলেও প্রভাব ফেলেছে।’

বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আরও বলেন, ‘আমি ও রকম কিছু বলিনি। আর যদি বলেও থাকি, সেটা যে বাইরে এল, এর দায় কে নেবে? আমাদের ভেতরে আলাপ-আলোচনা হতেই পারে। সেখানে বিদেশি কোচদের বাইরে এক-দুজনই থাকে যারা দলের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সম্পৃক্ত। নিশ্চয়ই তাদের থেকেই এটা বের হয়েছে। সেটা কে? বিষয়টা খুবই খারাপ। তারা হয় দলের ভালো চায় না, অথবা ওই খেলোয়াড়ের ভালো চায় না।’

সাকিব বলেন, ‘একজন চোটে পড়ায় আরেকজন খেলছে, তার সামনে যদি আপনি বলেন, ইশ্‌, আজ অমুক থাকলে ভালো হতো, ওই খেলোয়াড় কি জীবনে ভালো খেলবে! এগুলো যখন হয়, তখন দলের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব হয় না। এই দল যে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে না, আমি সেই দিনই বুঝে গেছি।’

Share this post

scroll to top