ময়মনসিংহ জাদুঘর ময়মনসিংহ শহরের ১৭ অমৃত বাবু রোডের জমিদার মদন বাবুর বাগান বাড়িতে অবস্থিত। জাদুঘরটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা হিসেবে কাজ করছে। এখানে ময়মনসিং জেলার স্থানীয় স্থাপত্য, মূর্তি, লৌহ জিনিসপত্র, হস্তশিল্প, শিলালিপি ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক দ্রব্যাদিসহ অনেক পুরাতন জিনিস-পত্র রয়েছে। এ জাদুঘরের অধিকাংশ জিনিস সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জমিদার বাড়ি থেকে। সর্বমোট ২১৪টি বস্তু জাদুঘরের তিনটি কক্ষে সংরক্ষিত রয়েছে।
জাদুঘরটি ১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহের তৎকালীন ডেপুটি-কমিশনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমদিকে ময়মনসিংহ পৌরসভা এটির তদারকি করলেও ১৯৮৯ সালে জাদুঘরটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন নিয়ে আসা হয়। ১৯৯৫ সালের গ্যাজেটে জাদুঘরটি সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংরক্ষিত বস্তুর মধ্যে রয়েছে পাণ্ডুলিপি ও বিভিন্ন ধরণের মুদ্রা যদিও অধিকাংশ বস্তুই প্রদর্শনী বাক্সের অভাবে প্রর্দশন করা হয়নি। এছাড়াও রয়েছে ময়ূরের মমি যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃক দান করা হয়েছিল। ১৯৯৯-২০০১ সালের সংস্কারের সময় সংরক্ষিত বাঁশ ও বেতের জিনিসপত্র, পাখির মমি, আলোকচিত্র ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকগীতির ক্ষতি সাধিত হয়েছিল।
কিছু বস্তু জামিদার বাড়ি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা হয়েছিল। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি থেকে সংগৃহীত বস্তুর মধ্যে রয়েছে পাথর ফুলদানি, কম্পাস, প্রাচীন ঘড়ি, অলঙ্কার, মৃত্শিল্প, মেশিন বয়ন, ফুলদানি, মোমের ঘোড়া, লোহার তাক এবং ক্রীড়া সামগ্রী; খোদাই-করা ভাস্কর্য সরস্বতী, বিষ্ণু; প্রাকৃতিক ইতিহাস আইটেমের মধ্যে বাঘের মাথা, দুই হরিণের মাথা, এবং একটি বন্য ষাঁড়ের মাথা অন্তর্ভুক্ত। গৌরীপুর জমিদার প্রাসাদ থেকে সংগ্রহ করা বস্তুর মধ্যে রয়েছে হাতির মাথা, সোফা সেট, ইতালীয় মূর্তি ও শিকারে ব্যবহৃত যন্ত্রাদি। এছাড়াও জাদুঘরটিতে গ্রাম্য অনেক চিত্রকর্ম রয়েছে।
কিভাবে যাবেন ময়মনসিংহ জাদুঘর দেখতে : ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে সরাসরি গাঙ্গিনারপাড় আসুন। অতপর ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন রোড ধরে ৫ মিনিট হাটলেই পেয়ে যাবেন জাদুঘরটি।