প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে বখাটে কিশোররের ছুরিকাঘাত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আশিক নামের এক বখাটে স্কুলছাত্র নৃশংস ও বর্বর হামলা চালিয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মম এই ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত স্কুলছাত্রীকে জরুরী ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত বখাটে আশিক ও তার সহযোগী আজাদুলের মা রমেলা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরমিপুর ইউনিয়নের রামপুরা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে তার মেয়ে। একই স্কুলে পড়ার কারণে তার মেয়ের দিকে কুনজর দেয় ওই গ্রামের ফজলুল করিম কালুর বখাটে ছেলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র আশিক আহমেদ। এক মাস আগে মেয়েটিকে সে প্রেমসহ নানা ধরণের কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটি তাতে অসম্মতি জানালে আশিক ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগী একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আজাদুলকে সাথে নিয়ে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ঘুমন্ত স্কুলছাত্রীর বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত দুই বখাটে পালিয়ে যায়।

গাইবান্ধা জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান জানান, ১২ বছরের এক কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বুকে ছুরিকাঘাতের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের ওই অংশে ৩২টি সেলাই দিতে হয়েছে। সে গুরুতর আহত হলেও বর্তমানে তার অবস্থা আশংকামুক্ত।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মামা বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আশিক ও তার সহযোগী আজাদুলের মা রমেলা বেগমকে গ্রেফতার করেছে।

Share this post

scroll to top