বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ মারা যাচ্ছে আর সরকারের মন্ত্রীরা তা নিয়ে উপহাস করছেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতারা গর্ব করে বলেন- দেশ উন্নতির দিকে গেলে নাকি ডেঙ্গুর জ্বরের প্রকোপ হয়। কি তামাশা, জনগণকে নিয়ে! ডেঙ্গু একটা মহামারী, এতে মানুষ মারা যাচ্ছে, আর তারা হাসি তামাশা করছেন। মানুষকে নিয়ে উপহাস করছে। কারণ তাদের ভোটের দরকার হয় না। দিনের বেলায় তাদের ভোট লাগে না। তারা রাতের বেলায় ভোট নিয়ে যেতে পারেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিরপুর ৭ নম্বর সেক্টর চলন্তিকা মোড়ের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মহানগর (উত্তর) বিএনপির পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগের গ্রাস থেকে বস্তিবাসীর থাকার জায়গা-জমিও রক্ষা পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ এখন খালি করার নীতি গ্রহণ করেছে। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী সরকার শুধু খালি করার নীতিতেই চলছে। একদিকে খুন-গুম মামলা-হামলার মাধ্যমে বিএনপিকে খালি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের লোকেরা বস্তিবাসীদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদের জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে।
রিজভী বলেন, বিএনপি ও বিরোধীদলকে গুম-হত্যা মামলা আর গ্রেফতারের মাধ্যমে খালি করা হচ্ছে। আর অসহায় বস্তিবাসীদের বসবাসের যেসব জায়গার ওপরে শকুনের দৃষ্টি পড়ছে, সে জায়গাটা দখল করার জন্য আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। মিরপুরের চলন্তিকা মোড়ের বস্তির অসহায় মানুষদের বসবাসের জায়গায়ও আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদের মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। পরে সেই জায়গাগুলো তারা দখল করে নিয়েছে। এটাই হলো আওয়ামী সরকারের খালি করার নীতি।
তিনি বলেন, সরকারের এই খালি করার নীতি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে লড়াই করতে হবে। লড়াই না করলে আমাদের কারও অস্তিত্ব থাকবে না। কারও ঘরবাড়িও থাকবে না। অনুষ্ঠানে কয়েকজন বস্তিবাসীর হাতে অনুদান তুলে দেন রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির নেতারা।
মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পল্লবী থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মতিন, রূপনগর থানা সভাপতি মোঃ আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, বাড্ডা থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, মিরপুর থানা বিএনপির নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ মন্টু, মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি ওসমান গনি শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।