অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তাই এই দলটির কাছে প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বড় জয়ই প্রত্যাশিত ছিল। শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যানীতে দেশের অগণিত ফুটবল প্রেমীর চাহিদার ব্যতিক্রম করেনি লাল সবুজ কিশোররা। দুর্বল ভুটানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু বাংলাদেশের। যা তাদের পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের বাড়তি প্রেরণা যোগালো। রাকিবুলদের পরের ম্যাচ ২৫ আগষ্ট শ্রীলংকার বিপক্ষে। অন্যদিকে ভুটানের এটি দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় পায় শ্রীলংকা। ওই দিন প্রথম ম্যাচে নেপাল ০-৫ গোলে হেরেছিল স্বাগতিক ভারতের কাছে। ২৭ তারিখে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল।
শুক্রবার খেলা শুরুর ১৫ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা লম্বা থ্রোতে মাথা লাগিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আল মিরাদ। অবশ্য গোলরক্ষক সাব্বির গাজীর ভুলে ১৭ মিনিটেই সমতায় ফেরে ভুটান। বাম দিক থেকে আসা ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে পোষ্ট ছেড়ে এসে ব্যর্থ বাংলাদেশের শেষ প্রহরী। ফলে তাতে ভুটানের পুব দর্জির হেড চলে যায় জালে। ২১ মিনিটে মুন্না আহমেদের ফ্রি-কিক থেকে বক্সে সৃষ্ট জটলায় পা লাগিয়ে ফের ২০১৮ এবং ২০১৫ এর শিরোপা জয়ীদের লিড এদে দেন আল আমিন রহমান। ৩২ মিনিটে পুনরায় ভুল করেন গোলরক্ষক সাব্বির। আবার সমতা ভুটনীদের। তার নেয়া গোল কিক গিয়ে পড়ে বক্সের বাইরে থাকা প্রতিপক্ষের সোনাম চোজাংয়ের পায়ে। সোনাম সেই বল ধরে কিছুটা এগিয়ে ডান পায়ের শটে পরাস্ত করেন কিপারকে।
অবশ্য প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠান বদলী ফুটবলার শুভ সরকার। ৩-২ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটাই বাংলাদেশের দখলে। একচেটিয়া খেলে জয় নিশ্চিত এই সময়েই। ৮৩ মিনিটে আল মিরাদ তার দ্বিতীয় গোল করে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে স্বস্তি এনে দেন। মিরাদ নিজেই চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন সতীর্থকে। ওই ফুটবলারের বাড়ানো পাসে ছোট বক্সের ভেতর থেকে আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাদ। ইনজুরি টাইমে দূর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে লাল সবুজদের পক্ষে পঞ্চম গোল করেন বদলী মিডফিল্ডার ইমন ইসলাম বাবু।