বিশ্বকাপ ফাইনালে ওভার থ্রো অবশ্যই ডেড বল ঘোষণা করা উচিত ছিল। হ্যাঁ, এমনই মনে করেন শেন ওয়ার্ন। বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে বেন স্টোকসকে আউট করার জন্য স্টাম্প লক্ষ্য করে বল ছুঁড়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডার। দ্বিতীয় রান শেষ করার জন্য ডাইভ দেন স্টোকস। তার ব্যাটে লেগে বল বাউন্ডারিতে চলে যায়। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ৬ রান দেন। দেয়া উচিত ছিল পাঁচ। কারণ, থ্রো–য়ের সময় ব্যাটসম্যান ক্রস করেননি। যা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। ধর্মসেনা নিজেও ভুল স্বীকার করেন।
ওয়ার্ন এই জায়গাটা নিয়েই মন্তব্য করেছেন, ‘আমি এমসিসি’র কমিটিতে আছি। যে কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আমার মতে ওটা ডেড বল ঘোষণা করে দেয়া উচিত ছিল ক্রিকেটের স্বার্থেই। যখন ব্যাটসম্যানের শরীরে বল লেগে বাউন্ডারি হয়, তখন সেটা ডেড বল হওয়া উচিত। আর সেটা হলেই ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় থাকে।’
সাম্প্রতিক সময়ে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। ওয়ার্নের কথায়,‘এমসিসি’র বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই সবসময় সেরা ও দক্ষ আম্পায়ার মাঠে থাকুক। তার মানে কি ভারতের ম্যাচে ভারতীয় আম্পায়ার, বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার কিংবা ইংল্যান্ডের ম্যাচে স্থানীয় আম্পায়ার থাকবে? এখনও এই বিষয়ে আলোচনা দরকার। দেখা যাক।’
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বেশ উৎসাহী ওয়ার্ন। বলেছেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ব্যাপারটা দারুণ। আশা করি আইসিসি এই বিষয়ে আরও বেশি করে নজর দেবে এবং তুলনায় বেশি টাকা খরচ করবে।’
টেস্ট জার্সির পেছনে এখন নম্বর আর নাম লেখা থাকছে প্লেয়ারদের। বিষয়টা অনেক সাবেক ক্রিকেটারেরই পছন্দ নয়। ওয়ার্ন অবশ্য উল্টো মেরুতে। বলেছেন, ‘আমার কোনও আপত্তি নেই। বরং নম্বর দেখে অনুরাগীদের পক্ষে গ্যালারি থেকে প্লেয়ারদের চেনাটা সহজ হবে।’
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট। অসি দলকে নিয়ে আশাবাদী ওয়ার্ন। তার মতে, ‘গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার প্লেয়াররা গভীরে গিয়ে ভেবেছে, তারা কী চায়। লক্ষ্য কী। অস্ট্রেলিয়ার এই দলটা বেশ ভাল। বোলিংয়ে বরাবরই ভাল ছিল। স্মিথ, ওয়ার্নার ফিরাতে ব্যাটিংশক্তি বেড়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল।’