শুক্রবার মামলার শুনানির সময় মামলার অন্যতম রাম লালা বিরাজমান-এর আইনজীবী সিএস বিদ্যানাথনকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘গত দু-সহস্রাব্দের বেশি সময় ধরে নদীর তীরে সভ্যতা গড়ে ওঠা এবং তা ধ্বংসের পরে সেখানে নতুন করে সভ্যতা গড়ে ওঠার নজির আছে। অনেক ক্ষেত্রে আগের কাঠামোর উপরে নতুন সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ফলে যে ধ্বংসাবশেষের উপরে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছে সেটি মন্দির বা কোনো ধর্মীয় কোনও কাঠামো ছিল, তার প্রমাণ দিন।’
জবাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের একটি খনন রিপোর্ট উদ্ধৃত করেন রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী বিশ্বনাথন। তিনি জানান, খনন কাজে বাবরি মসজিদের নীচে খ্রিষ্টপূর্ব দু’শতকের একটি কাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, কোনো খালি জমি বা কৃষি জমির উপরে যে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়নি, তা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট থেকেই পরিষ্কার।
তবে সেই প্রাচীন কাঠামো যে রামের মন্দিরই ছিল, এমন কোনো অকাট্য প্রমাণ যে নেই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও ‘চূড়ান্ত সম্ভাবনা’কে ভিত্তি করে সেটি রাম মন্দির ছিল বলেই আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন রাম লালার আইনজীবী।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া