ঢাকাTuesday , 13 August 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভয়ঙ্কর রূপ নিতে যাচ্ছে আসাম সঙ্কট

Link Copied!

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের তিন কোটি ২৯ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় দুই কোটি ৮৯ লক্ষের নাম উঠে গেছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসিতে৷ বাকি প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণপত্র দেখিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার শেষ সুযোগ পাবেন ৩১ আগস্ট পর্যন্ত৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সময়সীমা সম্প্রসারিত হয়ে এই তারিখটিই চূড়ান্ত হয়েছে৷ এর পরেও যারা আসামের ও ভারতের অবৈধ বাসিন্দা হয়ে থেকে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি প্রথমে বলেছিল, এদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে৷ কিন্তু কোথায়?‌ ভারত সরকারের অভিযোগ ছিল, এই অবৈধ অভিবাসীরা সবাই প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে এসেছে৷ কিন্তু বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আসামে তাদের কোনো নাগরিক নেই৷ ভারতে অবাঞ্ছিত এই লোকেদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ারও প্রশ্ন ওঠে না৷

ফলে নাগরিকপঞ্জিতে শেষ পর্যন্ত যাদের নাম উঠবে না, তাদের আপাতত আটক রাখা হবে সরকারি ডিটেনশন ক্যাম্পে৷ আসামের বিভিন্ন জেলায় যে জেলখানা আছে, এতদিন সেগুলোই এই অ-নাগরিকদের বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ পাশাপাশি বিরাট বিরাট এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প৷ যতদিন না এদের প্রকৃত নাগরিকত্ব নির্ধারিত হচ্ছে, এখানেই গরু-ছাগলের মতো খোঁয়াড়ে আটক রাখা হবে এদের৷ ক্ষোভে, হতাশায় এই মানুষদের মধ্যে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷ মরিয়া অনেকে তা-ও শেষ চেষ্টা করতে চান৷ কিন্তু সেও নেহাত সহজসাধ্য নয়৷ নামনি আসামের বাসিন্দাদের এক দিনের নোটিসে হাজিরা দিতে বলা হচ্ছে ৪০০ কিমি দূরে উজান আসামের কোনো এনআরসি সেবাকেন্দ্রে৷ খেটে খাওয়া গরিব মানুষের পক্ষে সেখানে পৌঁছনোও খরচসাধ্য ব্যাপার৷ তা-ও ওরা যাচ্ছেন৷ কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন যে, ওরা আসলেই এই দেশ এবং রাজ্যের বাসিন্দা৷

কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাকচ হয়ে যাচ্ছে সেসব প্রমাণপত্র৷ আইন-কানুন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে পুনর্বিবেচনার আবেদন৷ ডয়চে ভেলেকে বললেন গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হাফিজ চৌধুরি, যিনি এই এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া আসামবাসীর আইনি অধিকার নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন৷ বাদ পড়ার পর, যিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলেই দাবি করছেন, তিনি প্রথমে ট্রাইবুনাল, তারপর হাইকোর্ট এবং সামর্থ থাকলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন৷ সেই আইনি রাস্তা খোলা আছে৷ কিন্তু যদি সমস্ত সুযোগ পাওয়ার পরও না প্রমাণ করা যায়, তখন কী হবে?
অ্যাডভোকেট‌ হাফিজ চৌধুরি উদ্বিগ্ন সেই আশঙ্কা নিয়েই৷ কারণ, এই মানুষগুলো আসলেই কয়েক পুরুষ ধরে আসামের বাসিন্দা৷ জন্ম-কর্ম সব এখানেই৷ অন্য কোথাও এদের বাড়িঘর নেই৷ তাড়িয়ে দিলে কোথায় যাবেন এরা!‌ এটা আদতে এক মানবিক সমস্যা, যা শিগগিরই এক ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে চলেছে বলে তার আশঙ্কা৷

১৯৮০-র দশকে আসামের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র আন্দোলনের শর্তই ছিল রাজ্য থেকে মূলত অভিবাসী বাঙালি এবং অসমীয়া নয়, এমন সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে তাড়াতে হবে৷ সেই ‘‌বাঙালি খেদা’‌ আন্দোলনের শেষ হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে আসাম গণ পরিষদের চুক্তিতে৷ কিন্তু মূল দাবির হেরফের হয়নি৷ বরং ওই চুক্তির আবশ্যিক শর্তই ছিল অ-আসামীয়দের চিহ্নিতকরণ এবং বহিষ্কার৷ যতদিন কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই প্রক্রিয়া খাতায়-কলমে চালু থাকলেও চলেছে ঢিমেতালে৷ কিন্তু প্রথমে কেন্দ্রে এবং তারপর আসামেও বিজেপি ক্ষমতা দখল করার পর সে-কাজে দ্রুতি আসে৷ ৩০ জুলাই ২০১৮-তে প্রকাশিত, আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায় বাদ পড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ নাম, যে নাম ভোটার তালিকায় আছে৷ কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারায় এখন ‘‌ডাউটফুল ভোটার’‌‌৷ এদেরই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে ৩১ আগস্টের পর৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।