কোরবানির ঈদও কারাগারে কাটছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এর আগে পাঁচটি ঈদ কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের মতো কারাবন্দী হওয়ার পর ইতোমধ্যে কেটে গেছে ১৭ মাস। এই মুহূর্তে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বেগম জিয়ার নানাবিধ অসুস্থতা নিয়ে বিএনপিতে উদ্বেগ রয়েছে। সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন পরিবারের সদস্যরা। তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকা এসেছেন। তিনিও খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতারাও ঈদের দিন নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। তবে এখনো পর্যন্ত তারা সাক্ষাতের কোনো অনুমতি পাননি।
ঈদের দিন বেলা ১১টায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। তারা একই সাথে বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমানের কবরও জিয়ারত করবেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা কেউ ঢাকায় এবং কেউ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। বিএনপি মহাসচিব ঈদ উদযাপন করবেন ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ এলাকায়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, দেশ এখন এক চরম দুঃসময় অতিবাহিত করছে। জনগণ অধিকারহীন ও বাকরুদ্ধ। অগণতান্ত্রিক শক্তির দানবীয় উত্থানে রাষ্ট্র ও সমাজে ভয় ও আতঙ্ক আধিপত্য বিস্তার করে আছে। অনির্বাচিত ভ্রুক্ষেপহীন সরকারদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে জনগণের জন্য কোনো দায়িত্ববোধ থাকে না। তামাশাই হয় তাদের একমাত্র দায়িত্ব। কিছুদিন ধরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে মানুষ মারা যাচ্ছে, আক্রান্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। চিকিৎসা না পেয়ে তারা হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় কাতরাচ্ছে। অথচ সরকার নির্বিকার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শত নির্যাতন সহ্য করেও ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আক্রান্তদের সহায়তা দিতে সাধ্যানুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি এই ত্যাগের উৎসবের দিনে অবিচারের নির্মম শিকার গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে শামিল হওয়ার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান।