পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে নগর ভবনের সামনে মুল ফটকেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এতে তারা ডেঙ্গু মহামারি দমনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মেয়রদের ব্যর্থতায় তীব্র নিন্দা, পদত্যাগ দাবি করেন। এর পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ওষুধ আমদানির দাবি জানান তারা।
সোমবার সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে ‘নগরভবন’ অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত করে জোটের নেতা কর্মীরা।
এতে কথার বাগাড়ম্বর বন্ধ করে এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ওষুধ আমদানিতে স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মেয়রদের বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ ডেঙ্গু মহামারি দমনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের ব্যর্থতায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ডেঙ্গুতে এপর্যন্ত আক্রান্তদের রক্ষার ব্যর্থতার দায় গ্রহণ করে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ ডেঙ্গু মহামারি মোকাবিলায় অবিলম্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু। সভাপতির বক্তব্যের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামন থেকে নগর ভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন, নূর হোসেন স্কোয়ার, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে নগর ভবনের দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। বাম জোটের নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে নগর ভবনের গেইটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করে। নগরভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাইফুল হক, সাজ্জাদ জহির চন্দন, হামিদুল হক, আকম জহিরুল ইসলাম, মনিরউদ্দিন পাপ্পু, মোমিনুর রহমান মোমিন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম জোটের নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদ শাহ আলম, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মানস নন্দী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগর শাখার সমন্বয়ক খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, পূর্ব সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় সরকার, সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যখন একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, সেই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে বেড়াচ্ছেন ও মেয়ররা জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা অকার্যকর ওষুধ ছিটিয়ে জনগণের ৫০ কোটি টাকা অপচয় করেছে এবং সময়ক্ষেপন করে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করছে। সকল মহল থেকে নতুন ওষুধ আনার দাবি উঠলে তারা বলছেন ওষুধ আনবেন কিন্তু এখন নতুন ওষুধ কবে আসবে তা উনারা জানেন না। মেয়রদের এই ধরনের দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। অকার্যকর ওষুধ আমদানিতে যুক্ত সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।